নামহীন

সই

রেল গাড়ি যাচ্ছে, মাঠ পেরিয়ে, রাস্তা ছেড়ে,
ওই নীল আকাশের সাথে, সর্ষে ক্ষেতের
পাশ দিয়ে মন যাচ্ছে ছুটে ছুটে, হলুদ মেখে।
হঠাৎ যদি বৃষ্টি নামায় লুকিয়ে থাকা কালো মেঘ,
হাত বাড়াবে জানালা থেকে তুমি, কি যেন নাম?
ধানসিঁড়ি! না সাঁঝবাতি! নাকি অন্য কোনো নাম!
চিকন কালো শাড়িতে তোমার নীল বিষের রঙ।
তৃষাতুর চোখে তোমার চাতকসম আকুলতা,
এলোমেলো বাতাসে তোমার এলোকেশ, সান্ধ্যমেঘ!
আড়াল করে, আড়াল করে আনন, জড়িয়ে ধরে
ঠোঁটের ভাঁজের গভীর খাদের শুষ্ক কিনারায়।
তখন আমি ডাকাত সাজি, হাওয়ার সাথে মিশে
যাত্রা করি তোমার অতলান্তে, নিশ্চুপে, বেহায়া আমি নির্লজ্জতায়;
মিশে যাই ল্যাম্পপোস্টের আলোয়, প্রেম হয়ে চুঁইয়ে পড়ি শরীর দিয়ে।
অন্ধকারে প্রহর গুণি, প্রমাদ হয়ে জরিপ করি তোমার ’পরে;
তোমার বিপ্রতীপে থাকি, আঁখিতে মিশে যাই,
পড়ে রই নিস্তেজ ভারহীন সূক্ষ্মতায় তোমার কুহেলিসম বুকে, ভীষণ গভীরে!