সম্পাদকের কথা

প্রিয় পাঠকবন্ধুরা,

প্রথমেই আপনাদের সবাইকে জানাই প্রীতি ও শুভেচ্ছা। শারদ সংখ্যার পর আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম সাহিত্যের আলাদা আলাদা গোত্র নিয়ে এক একটি সংখ্যা করার, যাতে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার বিস্তর সুযোগ থাকে। সেই মত গত জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত হয়েছিল কল্পবিজ্ঞান ও ফ্যান্টাসি সংখ্যা, আর নতুন বাংলা বছরের শুরুতে আমাদের নিবেদন ছিল বিশেষ অপরাধ ও রহস্য সংখ্যা। বেশ কয়েকটি জনরা ফিকশনের ওপর সংখ্যা করার পর এবার আমাদের পরিকল্পনা বিভিন্ন সাবজনরা নিয়ে চর্চা করার। সেই মতো প্রকাশিত হলো ‘লাভক্রফটিয়ান হরর’ ও ‘সাইকোলজিকাল হরর’ নিয়ে ‘পরবাসিয়া পাঁচালী’র বর্ষা ২০১৯ সংখ্যা।

“মানুষের সবচেয়ে পুরাতন এবং শক্তিশালী আবেগ হলো ভয়।

আর, সবচেয়ে প্রাচীন এবং অদম্য ভয় হলো, অজানা-র থেকে আতঙ্ক।”

সাধারণত হরর বলতে আমরা বুঝি ভূত, রাক্ষস বা দানবের গল্প। কিন্তু লাভক্রাফটের দুনিয়াতে “অশুভ, বিকটদর্শন, ভয়ানক সব জীবেরা ঘোরাফেরা করে, অবহেলাভরে কৃমিকীটের মতো “উপেক্ষার আবিল দৃষ্টিতে” চেয়ে থাকে মানুষের মতো নগণ্য জীবদের প্রতি। আর মানুষ সেখানে অসহায় – পালিয়ে পালিয়ে বেড়ানোই তার কাজ, এইসব অতি ভয়ানক বিভীষিকাকে এড়িয়ে কিভাবে বাঁচা যায়, সেই আতঙ্কেই সে আধখানা হয়ে আছে!” (সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, এইচ পি লাভক্র্যাফট - জীবন ও সাহিত্য) সেরকমই এক ভিন্নধর্মী হররের সাবজনরা হলো সাইকোলজিকাল হরর, যেখানে ভূতের অস্তিত্বের থেকে বড় হয়ে ওঠে ভয়। এমন এক আতঙ্কময় পরিবেশ তৈরী হয়, যা মানসিকভাবে পাঠকদের অবশ করে দেয়।

প্রতিটি লেখাকে ‘লাভক্রফটিয়ান হরর’ বা ‘সাইকোলজিকাল হরর’ আলাদা করে চিহ্নিত করা হয়েছে পাঠকের সুবিধার্থে। পাঠকদের মতামত এক্ষেত্রে যে খুব গুরুত্বপূর্ণ সেটা বলাই বাহুল্য। কাজেই ভালো লেগেছে, খারাপ লেগেছে বা মনে দাগ কাটেনি, যে কোনো ধরণের মতামত আমাদের জানাতে ভুলবেন না। আমরা ধন্যবাদ জানাই সমস্ত লেখক ও শিল্পীকে, যাঁদের একের পর এক অসাধারণ কাজে এই সংখ্যা সেজে উঠেছে।

তাহলে আর দেরি কীসের, আতঙ্কের সমুদ্রে ডুব দিন। যাত্রা শুভ হোক!

ধন্যবাদান্তে,