শারদ ১৪২৫



প্রচ্ছদশিল্পী - অরিজিৎ ঘোষ


(প্রতিটি লেখা Hyperlink করা আছে। লেখার ওপর ক্লিক করে পড়ুন।)



দুষ্প্রাপ্য রচনা


উপন্যাস


গল্প

গহ্বরতীর্থের কুশীলব মলয় রায়চৌধুরী
কথার দাম চুমকি চট্টোপাধ্যায়
বোমাতঙ্ক অনন্যা দাশ
মানুষের বন্দি শাশ্বত বন্দ্যোপাধ্যায়
খোলস রম্যাণী গোস্বামী
মামুলি একটা গল্প ধূপছায়া মজুমদার
তিনতলার ঘর দ্বৈতা হাজরা গোস্বামী
নেভারল্যান্ডের খোঁজে সহেলী চট্টোপাধ্যায়
নীলগিরির বাঘ মিলন গাঙ্গুলী
মাস্টার সুস্মিতা কুণ্ডু
সমীকরণ সায়ন্তনী পলমল ঘোষ
বহুরূপীয়া অনিমেষ গুপ্ত
গলদ ঋজু গাঙ্গুলী
ভদ্রলোক দীপ ঘোষ
পুজোর জামা রাজীবকুমার সাহা
প্রেমের নেশায় সায়নদীপা পলমল
বাবা এরশাদ বাদশা
শূন্য খনন বুম বোস
দ্য সিক্রেট নাম্বার মোঃ ফুয়াদ আল ফিদাহ
চেলোবাদক পিনাকী ঘোষ
ইচ্ছে লজ্জাহীন প্রদীপ কুমার বিশ্বাস
আলোকবৃত্তে অনিন্দ্য রাউৎ
উপস্থিতি মধুমিতা সেনগুপ্ত
জল’কে চল্ রুমেলা দাস
কমরেড নীলাদ্রি মুখার্জি
হিটলারের চিঠি অভিষেক মিত্র
ম্যাডামের সাথে সেদিন পারমিতা বণিক
উড়ান অনিমেষ ভট্টাচার্য্য
রূপকার পারিজাত ব্যানার্জী
ঝড় সলমা মিত্র
ওল্ড এজ হোম অরুণ চট্টোপাধ্যায়
আমার বন্ধু জেনি বনশ্রী মিত্র
রূপান্তর অভিষেক সেনগুপ্ত
শূন্য প্রহর নীলাভ বিশ্বাস
নগণ্যের মৃত্যু প্রমিত নন্দী

অনুবাদ কমিকস


কবিতা

লাইব্রেরি তৃষ্ণা বসাক
বলে দেওয়া কথা সুমনা দাসদত্ত
ফেলুচরিত ৫০ প্রতীক কুমার মুখার্জি
টান চিন্ময় বসু
অভিযাত্রী বিদ্যুৎ বিহারি
তারুণ্যের ফাল্গুনে সুরঞ্জিৎ গাইন
অনন্ত প্রশ্ন সনৎ কুমার ব্যানার্জ্জী
ব্ল্যাকবোর্ড, চক ও ডাস্টার অসীম মালিক
তমসো মা জ্যোতির্গময়ঃ শুভদীপ পাপলু
বিরতির পর মন্দিরা লস্কর
আরেকটা বাঁক সায়ক দত্ত
ধোঁয়া মেঘ বৃষ্টি নীলাঞ্জনদেব ভৌমিক
অরফিউসের বাঁশি দেবজিৎ ভট্টাচার্য্য

প্রবন্ধ





সম্পাদকের কথা

“আশ্বিনের শারদ প্রাতে, বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জির, ধরণীর বহিরাকাশে অন্তরিত মেঘমালা, প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত জ্যোতির্ময়ী জগৎমাতার আগমন বার্তা, আনন্দময়ী মহামায়ার পদধ্বনি… অসীম ছন্দে বেজে উঠে রূপলোক ও রসলোকে আনে নবভাব মাধুরীর সঞ্জীবন, তাই আনন্দিতা শ্যামলী মাতৃকার চিন্ময়ীকে মৃন্ময়ীতে আবাহন… আজ চিৎশক্তি রূপিণী বিশ্বজননীর শারদশ্রী বিমণ্ডিতা প্রতিমা, মন্দিরে মন্দিরে ধ্যানবোধিতা…”

প্রিয় পাঠকবন্ধুরা,

‘আসছি আসছি’ করে শিউলির গন্ধমাখা ভোরে আলোর বেণু বাজিয়ে এসে পড়েছে মহালয়া। পিতৃপক্ষের শেষ। সূচনা হলো দেবীপক্ষের। পড়ল ঢাকে কাঠি। আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজোর। আর সেই সঙ্গে আপামর পাঠকের দরবারে আগমন ঘটল ‘পরবাসিয়া পাঁচালী’র, পাক্কা তিন মাস বিরতির পর। গতবছর প্রথমবারের জন্য পাঠকের কাছে আমাদের নিবেদন ছিল ‘পরবাসিয়া পাঁচালী’র শারদ অর্ঘ্যের। তখন পত্রিকার বয়স তিন মাসও হয়নি। সেদিনের সদ্যভূমিষ্ঠ শিশুর সামান্য প্রচেষ্টাকে পাঠকেরা দরাজভাবে বুকে টেনে নিয়েছিলেন। সে ভালোবাসা আমাদের চলার পথে অপরিসীম সাহস যুগিয়েছিল, আজও যোগায়। যে সাহসে ভর করে আমরা সাহিত্যের ডালি নিয়ে আবার এসেছি। বাণিজ্যিক কোনও উদ্দেশ্যের সম্পূর্ণ বাইরে গিয়ে আপনাদের সবার সঙ্গে এই সাহিত্য সফরে আমাদের সঙ্গী শুধু অদম্য জেদ আর আপনাদের ভালোবাসা। আমাদের কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই সেই সমস্ত লেখক ও শিল্পীদের প্রতি, যাঁরা অতুলনীয় ভালোবাসায় নানা স্বাদের গল্প, উপন্যাস , কমিকস, প্রবন্ধ, অলংকরণ, চিত্রকর্মে পরবাসিয়া পাঁচালীর এই শারদ সংখ্যা সাজিয়ে তুলেছেন।

তাহলে আর অপেক্ষা কীসের, পড়তে শুরু করে দিন। কেমন লাগল অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না। উৎসবের দিনগুলো ভাল কাটুক সকলের।

ধন্যবাদান্তে,

নিহত একজন - আনন্দ বাগচী

কলকাতা তখন এইরকমই, একটা কয়েন টস করার মত—কখন যে কোন্ পিঠ পড়বে কেউ জানে না।

ভাগ্য এবং দুর্ভাগ্য এমনি ভাবে পিঠোপিঠি খেলছে। আলো এবং অন্ধকার, কিংবা বলা ভাল, স্বাভাবিকতা এবং অস্বাভাবিকতা। এই মুহূর্তে ঘরে ঘরে রেডিও, ঘরে ঘরে হাসি-হুল্লোড়, পথে রঙের শোভাযাত্রা মেয়ে-পুরুষ গায়ে গায়ে—দরকারে অদরকারে। ফুটপাথে হকার হাঁকছে, রকে বকে ছেলে-ছোকরাদের বেকার জটলা।

পিশাচী - দেবব্রত চ্যাটার্জী

এক

“আপনি কখনো খুন করেছেন?”

প্রশ্ন শুনে ঘুরে তাকালাম। বৃদ্ধ ভদ্রলোকের সঙ্গে সবেমাত্র আলাপ হয়েছে। ফাস্ট ক্লাশ কুপেতে আমরা দু’জন যাত্রী। রাতের অন্ধকারের ভেতর ট্রেণটা হু হু করে ছুটে চলেছে।

মনে হ’ল ভদ্রলোক ঠাট্টা করছেন। তাই হেসে জবাব দিলাম, “না, সে সৌভাগ্য এখনও হয় নি।”

“ভুল করছেন মশাই। সেটা কখনই সৌভাগ্য নয়, আমি কিন্তু খুন করেছি, তিন তিনটে।”

রাবণ - বিভাবসু দে

অলংকরণ - মৈনাক দাশ
(১)

রাতটা যেন আজ বড় বেশিই অন্ধকার হয়ে নেমেছে মন্দোদরীর ঘরে। একটা প্রদীপও জ্বালেনি সে। ইচ্ছেই করছে না আজ। আকাশেও কালো মেঘ। চাঁদ, তারা সব কোথায় যেন হারিয়ে গেছে এই অনন্তব্যাপী অন্ধকারে। শ্বেতপাথরের অপূর্ব কারুকার্যে সাজানো এই ঘরের আনাচে-কানাচে অন্ধকার যেন ক্রমশ আরও আরও ঘনিয়ে উঠছে।

মিথিলা - দেবলীনা পন্ডা

অলংকরণ - পার্থ মুখার্জী
এক

দিগন্তের শেষপ্রান্ত থেকে আলোকবর্ণালীর উজ্জ্বল ছটায় সমগ্র আকাশ ভরিয়ে দিতে দিতে এদিনের মতো বিদায় জানালেন তেজোদীপ্ত দিনমণি। লাল-কমলা-সোনালী বর্ণের অনুপম শোভায় নববধূর মতো সেজে উঠছে চরাচর, বিশ্রামকক্ষের উন্মুক্ত গবাক্ষে মুগ্ধ দুই চোখ মেলে সেদিকেই তাকিয়েছিলেন মহারাজ।

তৃতীয় রিপুর খেলা - কস্তুরী মুখার্জি

অলংকরণ - কর্ণিকা বিশ্বাস

মোরাম বিছানো রাস্তাটা সর্পিল গতিতে এঁকেবেঁকে মার্বেল বাঁধানো সিঁড়ির প্রান্তে গিয়ে শেষ হয়েছে। রাস্তাটার দুপাশে নানা ধরণের পাতাবাহার আর রংবেরঙের ফুলের গাছ রাস্তাটাকে মনোরম করে তুলেছে। পাকা আপেলের মতো টকটকে গায়ের রং, ছ ফিটের কাছাকাছি হাইট হবে, বয়স আন্দাজ সাতান্ন কি আটান্ন এক দীর্ঘদেহী ব্যক্তি ধীর পায়ে হেঁটে আসছেন।

অরণ্যদেব ও দুর্গের শয়তান - প্রতিম দাস

ত্রয়োদশ অরণ্যদেবের সাথে দেখা হয়ে ছিল বিখ্যাত গ্রিম ব্রাদারসদের এক ভাই জ্যাকব গ্রিমের সাথে। তার সাথে অভিযানে গিয়েছিলেন রসেনহাগ দুর্গে। যেখানে ঘটে এক রোমাঞ্চকর ঘটনা। যা শোনাচ্ছেন ২১ তম অরণ্যদেব। লী ফক সৃষ্ট অমর চরিত্র নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ফ্রিউ পাব্লিকেশন থেকে প্রকাশিত হয় এই বিরাট মাপের কমিক্স কাহিনী।