ফাঁদ - সায়ন্তনী পলমল ঘোষ

অলংকরণ - প্রতিম দাস

নামটার পাশে সবুজ বিন্দু দেখেই পৃথার ঠোঁটে একটা বাঁকা হাসি খেলে গেল। তার আঙুলগুলো দ্রুত ফোনের কী-প্যাডে ঝড় তুলল।

“ঘুমওনি এখনও?” নিমেষের মধ্যে অপর প্রান্তের মানুষটি উত্তর দিল, “উঁহু একজনের সাথে কথা বলার অপেক্ষায় আছি।”

“তাই নাকি?”

“হুম। আমি তো একজনের জন্য পাগল হয়ে গেছি কিন্তু সে আমাকে কতটা ভালোবাসে সেটাই বুঝতে পারছি না।”

পৃথা কতগুলো লাভ স্টিকার পাঠিয়ে দিল।

উল্টো দিক থেকে জবাব এল, “এভাবে আর কত দিন? আমরা কি একবার অন্তত দেখা করতে পারি না? তোমাকে দেখতে ভীষণ ইচ্ছে করে। তোমার প্রোফাইল পিকচারটাও তো ঝাপসা।”

পৃথা নিজের মনেই হেসে এক জোড়া ঠোঁটের ছবি পাঠিয়ে দিল।

“ফোটো নয় সোনা আমি তোমার সাথে সামনাসামনি দেখা করতে চাই, তোমার সাথে কথা বলতে চাই। প্লিজ, আমার কথাটা একবার ভাবো। আমি যাকে এত ভালোবাসি আজ পর্যন্ত তার গলাটাও শুনতে পেলাম না। তোমার হিটলার মায়ের ভয়ে তুমি তো ফোনেও কথা বলো না।”

“ওকে জানু। আই উইল ট্রাই।”

“আর চেষ্টা করার কথা বলো না। রিয়া প্লিজ। আমার কথাটা একটু ভাবো।”

“বিলিভ মি বেবি। আমিও ভীষণ ভালোবাসি তোমাকে। এই সপ্তাহেই আমরা দেখা করবো।” আরও কিছুক্ষণ রসালো প্রেমালাপ চালালো পৃথা তারপর শুভরাত্রি জানিয়ে দিল। কতক্ষণ আর বানিয়ে বানিয়ে ন্যাকা ন্যাকা প্রেমের কথা বলা যায়।

 

ফোনটা বিছানায় রেখে বাথরুমের দিকে যেতে যেতে পৃথা দেখল মা এখনও জেগে আছেন।

“মা তুমি এখনও ঘুমোওনি কেন?” রাগত স্বরে বলে পৃথা।

“পুজোর মরশুম। অনেক ব্লাউজের অর্ডার আছে। ঠিক সময়ে দিতে না পারলে আর কি কাজ পাবো!”

মাকে জড়িয়ে ধরে পৃথা বলে, “এখন তো আমি রোজগার করি মা। তাও তুমি এত কষ্ট করো কেন?”

ম্লান হেসে মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে মা বলেন, “ পাগলী মেয়ে। একলা তুই কত টানবি? তোর বাবার চিকিৎসা, বিল্টুর ডাক্তারি পড়ার খরচ সব সামলাতে সামলাতে নিজের দিকে তো একটুও নজর দিস না।”

“ঠিক আছে। এখন করছ করো কিন্তু আর একবছর পরে যখন ভাই ডাক্তার হয়ে যাবে তোমার সব কাজ বন্ধ।”

“আচ্ছা বাবা। ঠিক আছে।”

পৃথা নিজের মনেই ভাবে এই কাজটা তাকে ঠিকঠাক করতেই হবে। এই কাজটার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। আগেও এই ধরনের কাজ সে করেছে কিন্তু সেগুলো চুনোপুঁটি ছিল। দীপটা হল রাঘব বোয়াল। এটাকে ফাঁদে ফেলতে পারলে হয়ত এই এঁদো গলির দু'কামরার ভাড়া বাড়ি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। দু'বছর আগে পৃথার বাবার হঠাৎ স্ট্রোক হয়ে যায় তাতে শুধু জমানো টাকা পয়সাই নয় গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত বাবার কারখানার চাকরিটাও চলে যায়। তারপর থেকে পৃথা আর ওর মা সংসারটা কী করে টানছে ওরাই জানে। ওর বাবার ডান দিকটা প্রায় আসাড় হয়ে গিয়েছিল। টানা চিকিৎসা করিয়ে এখন অনেক ভালো। ভাই চিরকালই পড়াশোনায় ভালো তাই যখন ডাক্তারিতে সুযোগ পেল পৃথার বাবা বলেছিলেন যে যেমন করে হোক ছেলেকে ডাক্তার করবেন। বাবার অসুখ হতে ভাই বলেছিল পড়া ছেড়ে দেবে কিন্তু পৃথা আর ওর মা হতে দেয়নি। এত অল্প বয়স থেকে সংসারের জোয়াল কাঁধে নিয়ে চলতে চলতে পৃথার মাঝে মাঝে ক্লান্ত লাগে কিন্তু সেই আলস্যকে পাত্তা দেওয়ার মেয়ে সে নয়। এখন তার লক্ষ্য একটাই দীপ সরকারকে ঠিকঠাক ফাঁদে ফেলা, তাহলেই কেল্লাফতে।

বেশকিছু দিন কেটে গেছে দীপ আর অপেক্ষা করতে চাইছে না। পৃথার সাথে দেখা করার জন্য অস্থির হয়ে উঠেছে। অবশ্য ওর কাছে পৃথা হলো প্রিন্সেস রিয়া। ফেক অ্যাকাউন্টটা এই নামেই খুলেছে পৃথা যাতে কাজ শেষে ওর আর কোনও অস্তিত্ব না থাকে। আবার নতুন শিকারের জন্য নতুন নাম, নতুন অ্যাকাউন্ট। আজ অনেকক্ষণ দীপের সাথে চ্যাট করল পৃথা। ওকে পুরো বুদ্ধু বানিয়ে ছেড়েছে সে। এমন ভাব করেছে যেন ওর প্রেমে পাগল হয়ে গেছে। ফোনটা বেজে উঠলো, “স্যার কলিং।” পৃথা তড়িঘড়ি ফোনটা তুলল, “হ্যালো স্যার।” উল্টো দিক থেকে গম্ভীর কণ্ঠের আওয়াজ ভেসে এল “কাজ কেমন চলছে?”

“ঠিকঠাক স্যার।”

“ওকে ফাইন। এবার তোমার ওই নতুন প্রেমিক প্রবরটিকে একবার দেখা দাও নাহলে যদি আবার তার অভিমান হয়ে অন্য পথে চলে যায় তাহলে তোমার এতদিনের অভিনয় মাঠে মারা যাবে।”

স্যার নামে সেভ করে রাখা হোয়াটস্যাপ নম্বরটায় দীপের সাথে কথোপকথনের একটা স্ক্রিনশট পাঠিয়ে দিল পৃথা। বিছানায় শুয়ে পৃথা বেশ আত্মপ্রসাদ অনুভব করল। এত সহজে শিকারকে ফাঁদে ফেলতে পারবে ভাবতেই পারেনি ও। স্যার বলেছেন এই কাজটা ঠিকঠাক করতে পারলে ওর জন্য রিওয়ার্ড আছে। কে জানে কী অপেক্ষা করছে ওর জন্য।

আজ দীপের এত দিনের অপেক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে। উন্মুখ হয়ে সে পার্কের গেটের দিকে তাকিয়ে আছে।

“আমি এসে গেছি।” পৃথার মিষ্টি কণ্ঠের ডাকে ঘুরে তাকালো দীপ। জিন্স আর সাদা টপ পরিহিতা পৃথাকে যথেষ্ট আকর্ষণীয় লাগছে।

“হাঁ করে কী দেখছ?”

“যাকে দেখার জন্য এতদিন ছটফট করছিলাম তাকে দু'চোখ ভরে দেখছি।”

“ধ্যাৎ। এই জানো আমি না বেশিক্ষণ থাকতে পারবো না। মাকে অনেক কষ্টে ম্যানেজ করে এসেছি। তুমি তো জানো আমাদের আর্থিক অবস্থা। মা বলে গরীবের মেয়ের দিকে নাকি সবাই হাত বাড়িয়ে থাকে।” কাঁচুমাচু হয়ে বলে পৃথা।

“ওহ সোনা, তোমাকে আর এসব নিয়ে ভাবতে হবে না। ইউ ক্যান ট্রাস্ট মি। আজ থেকে তোমার আর তোমার ফ্যামিলির সব দায়িত্ব আমার। যদি তুমি বলো আমি এক্ষুনি তোমার একাউন্টে তিরিশ হাজার টাকা ট্রান্সফার করে দিচ্ছি তাহলে তোমার মায়ের বিশ্বাস হবে তো আমাকে?”

“না,না আজ তার দরকার নেই। আমি যখন বলব তখন করে দিও।” পৃথা খুশি মনে বলে।

“তাহলে এখন নিশ্চিন্তে বসো তো তোমার সাথে প্রাণ ভরে কথা বলি।”

 

সেদিনের পর থেকে পৃথা সরাসরি ফোনে কথা বলা শুরু করলো দীপের সাথে। এই সিমটা বিশেষ করে এই কাজের জন্যই নিয়েছে পৃথা। দিন কয়েক পরে দীপই লং-ড্রাইভে যাওয়ার প্রস্তাবটা দিল। পৃথা তো সুযোগটা লুফে নিল। এমন একটা সুযোগের অপেক্ষাতেই তো ছিল সে। পাশাপাশি বসে হাইওয়ে ধরে উড়ে চললো দু'জনে। গোলাপী কুর্তি পরা পৃথাকে ছুঁয়ে যাচ্ছিল দীপের মুগ্ধ চোখ। পৃথার নিজেরই নিজের অভিনয়ের প্রশংসা করতে ইচ্ছে করছিলো।

“দীপ, এই ছেলেটা এখানে ক্যামেরা নিয়ে কী করছে? আর ওই ছেলেটাই বা কে?”

দীপের সাথে ওদের বাগানবাড়ি দেখতে এসেছে পৃথা।

“জানু ও কিছু না। আমি তোমাকে আদর করব আর ওরা সেটা ভিডিও করবে।”

“ম মানে?” বিস্মিত প্রশ্ন পৃথার।

“মানে এটাই আমার ব্যবসা সোনা। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তোমার মত সুন্দরী মালগুলোকে পটিয়ে জালে তোলা তারপর পানু তৈরি করা। পানু বোঝো?” বিচ্ছিরিভাবে হাসতে থাকে দীপ।

“এসব কী বলছো দীপ!” আতঙ্কিত গলা পৃথার।

“ইয়েস মাই প্রিন্সেস রিয়া। কী বলেছিলাম যেন তোমাকে? আমি বড়লোক বাবার একমাত্র দুলাল। আমার বাবার নাট-বল্টু তৈরির বিশাল কারখানা। আমি আবার নতুন বিজনেস করার প্ল্যান করছি। হা হা হা।” মানুষের হাসি যে এত কদর্য হতে পারে ধারণা ছিল না পৃথার।

“সত্যি মাইরি, কী সহজে জালে পড়লে তুমি। ভাবলে মাল্লুওয়ালা ছেলে ফাঁসিয়ে ফেলেছ। এবার বড়লোকের বউ হয়ে আয়েশ করবে। তোমার ওই ভিখিরি মা-বাপকেও বরের ঘাড়ে পালবে।” খিক খিক করে হাসছে দীপ।

পৃথা কাঁপা কাঁপা গলায় বলল, “ আ আমি পুলিশে খবর দেব।”

“শালা গত তিন বছর ধরে পুলিশ আমার টিকি ছুঁতে পারেনি আর উনি আমাকে পুলিশ দেখাচ্ছেন! আমাকে ধরা এতো সোজা নয় মামনি।”

“এই রতন তাড়াতাড়ি কর। তোর পরে আমি একটু চাখবো।” কালো গেঞ্জি পরা ছেলেটা বলল।

“রতন!”

“অবাক হচ্ছ ডার্লিং? এটাই আমার আসল নাম। তোমার মত মাল্লু পটাতে এই অদ্যিকালের নামটা তো চলে না তার উপর এটা আমার আসল নাম, তাই ওই ঝিনচাক নামগুলো নিতে হয়। দীপ, রাহুল, রনি….। হা হা হা।”

“আমার সঙ্গে অসভ্যতা করার চেষ্টাও করো না। ফল ভালো হবে না।” ফুঁসে ওঠে পৃথা।

“কেন সোনা যখন নিজের ঠোঁটের, চোখের ছবি পাঠাতে তখন তো কত ফষ্টিনস্টিওয়ালা কথা বলতে। এখন হঠাৎ সতী-সাবিত্রী হয়ে গেলে নাকি?”

“এই রতন ফালতু বকছ কেন রে? জলদি জামাকাপড়গুলা খুলে কাজ শুরু কর।” কালো গেঞ্জির আর যেন তর সইছে না। পৃথার দিকে তাকিয়ে আবার বলে, “এই মেয়ে শুন। আমি রতনের মত ফালতু বকতে পারি নি। সোজা কথা সোজা করে বলছি। প্রথমে রতন তারপর আমি কাজ সারবো। ট্যা ফো করার চেষ্টা করবি নি। বেশি চিল্লা মিল্লি করলে খাল্লাস করে দুব। মা-বাপ একটা চুলের ডগাও খুঁজে পাবে নি। তোর আগে বহু মালকে ভ্যানিশ করেছি। যদি ঝামেলা না করিস কাজ সারার পর আমরা ছেড়ে দুব। আর তারপর পুলিশের কাছে যদি যাস তোর মা-বাপ, ইয়ার-দোস্ত, আত্মীয়, পাড়া পড়শি সবার ফোনে তোর রাসলীলার ভিডিও পৌঁছে যাবে।”

“তাহলে সোনা যা করবে ভেবে চিন্তে করবে। যদি গুড গার্ল হয়ে থাক তাহলে নো প্রবলেম। আমরা একবারের এঁটো মালে দ্বিতীয় বার মুখ দিই না। তুমি নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরে গিয়ে ঘুমতে পারবে আর তোমাকে ডিস্টার্ব করব না। আমাদের নেক্সট মাল রেডি আছে।” রতন চিবিয়ে চিবিয়ে বলে।

পৃথা কয়েক মুহূর্ত চিন্তা করে শুকনো মুখে বলল, “ঠিক আছে। আমি তোমাদের কথা মেনে নিলাম।”

“এই তো চাই। চলে এস সোনা। খুলে ফেল।” রতন এগিয়ে এল পৃথার দিকে। শিকারি নিজেই বোধহয় ফাঁদে পড়ে গেছে।

পৃথা ভয়ে পিছিয়ে গিয়ে নিজের হাতটা জামার পেছন দিকে নিয়ে গেল। মুহূর্তের মধ্যে তার হাতে যে জিনিসটা উঠে এল সেটা দেখে চমকে উঠল রতন আর তার সাঙ্গপাঙ্গরা।

“এই এটা কী!”

“কেন পানু ছাড়া আর কিছু চেন না নাকি? এটাকে রিভলবার বলে।”

“এই রিয়া কী হচ্ছে এসব? তোমার কাছে পিস্তল এল কোথা থেকে?”

“রিয়া? কে রিয়া?”

“মানে?” রতনের অবাক প্রশ্ন।

“মানে তোমার মত শয়তানদের ফাঁদে ফেলতে এসব রিয়া, পিয়া, জিয়া নাম নিতেই হয় আমাকে।”

“এই রতন হাঁ করে দাঁড়িয়ে করছিস কী? ধর মালটাকে।” ক্যামেরা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটি চিৎকার করে উঠল। রতন পৃথার দিকে এগোতেই বিদ্যুৎ গতিতে পৃথার হাত-পা দুটোই চলল। মাটিতে ধরাশায়ী অবস্থায় রতন দেখল বাইরে থেকে তার এক সঙ্গী ছুটে ঘরে ঢুকল।

“বস পুলিশ চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেছে। পালাবার কোনও পথ নেই।”

কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে রতন আর তার সঙ্গীরা দেখল পুলিশের জালে তারা পুরোপুরি আটকা পড়ে গেছে। জাল কেটে বেরনোর কোনও উপায় নেই। ঘরে ঢুকলেন দীর্ঘদেহী পেটানো চেহারার বছর পঞ্চাশের এক অফিসার। রিভলবারটা রতনের সামনে নাচিয়ে বললেন, “কী রতন তালুকদার, এবার নিজেই যে ফাঁদে পড়ে গেলে! একেবারে হাতেনাতে পাকড়াও হলে। সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিয়ে এতদিন অনেক মেয়ের সর্বনাশ করেছ। কত মেয়েকে খুন করেছ, কতজন তোমার জন্য সুইসাইড করেছে তার হিসেব হবে এবার। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বেশ বেঁচে যাচ্ছিলে তাই বাধ্য হয়ে তোমার অস্ত্রেই তোমাকে ঘায়েল করতে হলো। তুমি ভাবতেও পারনি যে তুমি প্রিন্সেস রিয়াকে ফাঁদে ফেলছ না নিজেই পুলিশের ফাঁদে পা দিচ্ছ।”

“নিয়ে যান এদের।” অধস্তনদের নির্দেশ দিলেন অফিসার। রতনরা হতভম্ব হয়ে একবার পৃথাকে দেখল তারপর পুলিশদের সাথে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হলো। প্রতিরোধের চেষ্টা বৃথা সেটা ভালো মতোই বুঝে গেছে তারা।

“ওয়েল ডান পৃথা।”

“থ্যাংক ইউ স্যার।”

“তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে।”

বিস্মিত পৃথার প্রশ্ন, “কী স্যার?”

“আমার ট্রান্সফার হয়ে যাচ্ছে ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টে সেই সাথে তোমারও, তবে সাব ইন্সপেক্টর হিসেবে নয় ইন্সপেক্টর হিসেবে। বিগত কিছু কেস আর সেই সাথে এই কেসটায় তোমার কাজে ডিপার্টমেন্ট ভীষণ খুশি। উই আর প্রাউড অফ ইউ।”

পৃথার মুখে হাজার তারার দ্যুতি খেলে যায়।

“আর একটা কথা ভাড়া বাড়িটা ছেড়ে দাও।”

“কেন স্যার?”

“তোমার জন্য একটা সুন্দর কোয়ার্টার অপেক্ষা করছে।” হাসতে হাসতে বললেন পৃথার স্যার। বর্ষীয়ান পুলিশ অফিসারটি দেখলেন নিজের পরিবার এবং কর্মক্ষেত্রের প্রতি নিবেদিত প্রাণ অকুতোভয় মেয়েটির চোখে আনন্দাশ্রু।