সম্পাদকের কথা

প্রিয় পাঠকবন্ধুরা,

প্রথমেই আপনাদের সবাইকে জানাই নতুন বছরের প্রীতি ও শুভেচ্ছা। আপনাদের সঙ্গে পরবাসিয়া পাঁচালীও পেরিয়ে এল আরো একটা বছর। গত বছর এই সময়েই প্রকাশিত হয় আমাদের বিশেষ কল্পবিজ্ঞান ও ফ্যান্টাসি সংখ্যা। নতুন বছরের শুরুতে কী বিষয়ে আমাদের পত্রিকা সাজানো যায় নিয়ে বেশ দোলাচলে ছিলাম। তখন একদিন দুই পাঠকের যে কথোপকথন শুনি তা খানিকটা এইরকম...

১: এই পরবাসিয়া কোনো হাসির সংখ্যা কেন করে না রে?

২: জনরা ফিকশনের পত্রিকা তো, তাই বোধহয়।

১: কিন্তু জনরা ফিকশন মানে তো বলছে কোনো বিশেষ জনরার গন্ডির মধ্যে গল্প লেখার চেষ্টা! শিবরাম বা নারায়ণবাবু যে লেখাগুলো লিখতেন এগুলো তো মানুষকে অনাবিল আনন্দ দেওয়ার জন্য লেখা হাসির গল্পই। তাহলে হাসি তো একটা জনরাই হলো নাকি?

২: তাহলে সাইফাই, হরর বা ক্রাইমের সঙ্গে হাসিও একটা জনরা বলছিস?

১: শুধু বলছি না, সম্পাদকের কাছে দাবিও জানাচ্ছি!

২: আর হ্যাঁ, ভূত বা গোয়েন্দা বা সাই ফাই-এর সঙ্গে হাসির মিশে থাকে তাহলেও তো সেটা জনরা ফিকশনই থাকবে, কী বলিস?

১: না হলে এবারে বইমেলায় যেসব ভুরি ভুরি অ‘চিরায়ত’ সাহিত্যের বই বেরিয়েছে, সেগুলো সব সম্পাদকের মাথায় পড়বে!

এসব শুনলে আর কী করি বলুন তো! প্রাণের ভয় তো সবারই থাকে, তাই না? তাছাড়া ভেবে দেখলাম, পরবাসিয়া পাঁচালী তো তার জন্মলগ্ন থেকেই ব্যতিক্রমী সাহিত্যচর্চার চেষ্টা করে এসেছে, আর ভবিষ্যতেও করবে। তাই হাস্যকৌতুকের মতো সাহিত্য, যা মিম-জোকসের বাজারে আজকের বাংলায় কিছুটা হলেও ব্রাত্য হয়ে পড়েছে, তা নিয়ে চর্চার আগ্রহে পরবাসিয়া পাঁচালীর এই সংখ্যার আয়োজন করেই ফেললাম। আমরা ধন্যবাদ জানাই সমস্ত লেখক ও শিল্পীকে, যাঁদের এক-একটা অসাধারণ কাজে এই সংখ্যা সেজে উঠেছে।

পাঠকদের মতামত এক্ষেত্রে যে খুব গুরুত্বপূর্ণ সেটা বলাই বাহুল্য। কাজেই ভালো লেগেছে, খারাপ লেগেছে বা মনে দাগ কাটেনি, যে কোনো ধরণের মতামত আমাদের জানাতে ভুলবেন না। তাহলে আর দেরি কীসের, হাস্যরসের সাগরে ডুব দিন। পেট ফাটুক! আর মন ভালো হোক!

ধন্যবাদান্তে,