অনিমেষ গুপ্ত
মাঝেমাঝে আমার মাকে দেখতাম গান গাইছেন
আমাদের সংসারের গেরস্থালীর কাজের ফাঁকে একা
বিষণ্ণ সেইসব সুর রান্নাঘর পেরিয়ে পৌঁছে যেত
খিড়কি দোরের পেছনে পতিত জমির লতাগুল্মের মধ্যে
আর মার চোখে দুলত এক সবুজাভ পাতা।
গান শিখিনি, তবুও আজকাল প্রায়ই
আমার জেগে থাকা বা স্বপ্নাবলীর মধ্যে
অনন্য এক দৃশ্যকল্প বারবার ফিরে ফিরে আসে
গলায় কাপড়ে বাঁধা একবেলো হারমোনিয়াম,
গান গাইতে গাইতে হেঁটে যাচ্ছি আমি আর আমার মা
বক্সীর মাঠ ধরে, বড় পুষ্করিণীর পাশ দিয়ে
শ্যামল এক নক্ষত্রের দিকে।
ঘুম আসেনা কিংবা হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে বিছানায় বসি
একটানা সিলিং ফ্যানের আওয়াজ,
জানলার শার্সির বাইরে অন্ধকার গাঢ় হয়ে আছে!
নীচে তাকালে মনে হয়
রাতের রাস্তার মতো একা বোধহয় আর কেউ নয়।
কপালের ঘাম মুছি, দমবন্ধ লাগে
যেন বুকের কাছে আটকে আছে হাওয়া; নাবলা সব রুদ্ধকথা
জমে আছে গলার ভেতরে।
বিছানা ছেড়ে উঠি, চোখে মুখে জল ছেটাই,
তবু এক অস্বস্তি যেন যায়না কিছুতেই,
কতদিন হল যেন চলে গেছেন মা!
আমাদের সংসারের গেরস্থালীর কাজের ফাঁকে একা
বিষণ্ণ সেইসব সুর রান্নাঘর পেরিয়ে পৌঁছে যেত
খিড়কি দোরের পেছনে পতিত জমির লতাগুল্মের মধ্যে
আর মার চোখে দুলত এক সবুজাভ পাতা।
গান শিখিনি, তবুও আজকাল প্রায়ই
আমার জেগে থাকা বা স্বপ্নাবলীর মধ্যে
অনন্য এক দৃশ্যকল্প বারবার ফিরে ফিরে আসে
গলায় কাপড়ে বাঁধা একবেলো হারমোনিয়াম,
গান গাইতে গাইতে হেঁটে যাচ্ছি আমি আর আমার মা
বক্সীর মাঠ ধরে, বড় পুষ্করিণীর পাশ দিয়ে
শ্যামল এক নক্ষত্রের দিকে।
ঘুম আসেনা কিংবা হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে বিছানায় বসি
একটানা সিলিং ফ্যানের আওয়াজ,
জানলার শার্সির বাইরে অন্ধকার গাঢ় হয়ে আছে!
নীচে তাকালে মনে হয়
রাতের রাস্তার মতো একা বোধহয় আর কেউ নয়।
কপালের ঘাম মুছি, দমবন্ধ লাগে
যেন বুকের কাছে আটকে আছে হাওয়া; নাবলা সব রুদ্ধকথা
জমে আছে গলার ভেতরে।
বিছানা ছেড়ে উঠি, চোখে মুখে জল ছেটাই,
তবু এক অস্বস্তি যেন যায়না কিছুতেই,
কতদিন হল যেন চলে গেছেন মা!