বিশার্ত


শুভদীপ সেন


লিপ্তপদ ঝোড়ো দাবীর মঞ্চে আলেয়ার হৃদপিন্ড...
রক্ত বইছে ছত্তিসগড়ে,
চাঁদ নেমেছে উপন্যাসের উপসংহারে—
কীরিটি-ফিরিঙ্গীর জাহাজ মাস্তুলে
গীর্জা ঘন্টার প্রতিধ্বনী,
রংপুরের শুক্র আজানী জেহাদ—
মৃত্যু অভিধান জাতিস্মর—
চাইলে ফিরিয়ে দিও
কোনও ঘামঝরা ব্লেডের বাথরুমে!

মা হওয়া মেয়েটার আগামী একাদশী
পাশ্চাত্য তৈলচিত্রে নিলাম পেয়েছে
নাৎসী দেয়ালে;
অভাবী ভাতের বাঙ্গালী থালায় মোচার ঘন্ট
বিলাসী হ্যামলেটের এক পেগ্ রাতে
হাত রেখেছে ইজিচেয়ারের স্তাবকতায়।

শিল্পীর তুলিতে রূপোলী মিথুন তুমি;
আর কতবার চুরি হবে
ঘাটশিলার ঐ বৃষ্টিভেজা পার্ক-এ!
পৌণে ঊনিশ বিজ্ঞাপনে আহত
বেয়ারা কানের দুল—
দক্ষিণী হাসিতে নিভে যাওয়া বিঁধানো নাক,
বলোতো জরায়ু;
সে অন্তর্যামী কোন পাঁচতারা বর্ষবরণে
তেল মাখা মুড়ি হবে?

ক্লান্ত শতদ্রুর বুকে রাখা সেই পুরনো দিনের কথা—
আজও কি বান্ধবীতার আলতা রাঙানো ট্রামলাইন
নাকি, বেগুনী শরীরের প্লেটে সাজিয়ে দেওয়া
একমুঠো পোশাকী শ্লীলতা,
আর, একটা গোটা বাটি শাকভাজা!