রক্তাক্ত হোলি


তপন বাড়ৈ


সোহাগ তুমি ঘোমটা মুখো হয়ে
আড়াল হয়েই থেকো,
দমকা বাতাসে প্রদীপ নেভার আগে
আমিই প্রদীপটি নিভিয়ে দিচ্ছি,
আমার যে বীজ তোমার গর্ভাশয়ে লালিত,
ওকে আধার করেই রেখো।

এ পৃথিবী আজ বড় অসহায়,
প্রতিনিয়ত বাতাস বহে বারুদের গন্ধ নিয়ে
প্রভাতের নির্মল সূর্য ঢাকাপরে বিস্ফোরণের কালো ধোয়ায়
মনুষ্যত্ব আজ লোভ পেয়েছে কানায় কানায়,

নিশিথ বড় ভয়ংকর
নিশাচরের সে ডানাঝাপট প্রতিনিয়ত ধ্বনিত
বসন্ত দূত ছল চোখে নিস্তব্ধ যাপন
রামধনুর সে সাতরঙা বাহার আজ
ঢেকে গেছে শৈশবের তাজা রক্তে,
পিতার চোখে জল জমেছে বসন্ত সন্ধ্যায়
সন্তানের চোখের কোনে রক্তহোলি উদযাপনে।।