আসা যাওয়ার মাঝে


চিন্ময় বসু


দিনের আলোর মতো স্বচ্ছতার ভিতরেও
অপসৃয়মান দিনের এই দোলাচল।
ঘড়ির কাঁটা ধরে অবিরত বিকেলেরা
হানা দেয় বিশ্বের প্রস্তর স্থিরতাকে নাড়া দিতে।

দৃশ্যমান অথচ ক্ষণস্থায়ী
কত কাছে অথচ কত দূরে।
সত্যিকারের স্পর্শ করার
সাধ্য নেই।

বস্তুগুলি বই খাতা পেন্সিল
ঘাস ও উদ্ভিদ গুলি
তাহাদের নামের প্রচ্ছায়ে
শান্ত বিশ্রামে রয়ে গেছে।

সময়
এদিকে দামাল শিশুর মতন
আমার কপালের ধক ধক শিরা জুড়ে
রক্তের পরিচিত হরফে বার বার
একঘেয়ে বয়ে চলে
থামে না কোথাও।

আর আলো
চারিদিকে দেয়ালের শক্ত ভীত
মালার প্রতিঘাতে
নিঠুর কাঁপনের প্রতিবিম্ব জুড়ে
গড়ে তোলে নাটমঞ্চ মায়াবীর
ভুতুড়ে বাস্তব।

আর আমি
দৃশ্যের স্থিরের মতন
আঁখিপল্লব মাঝে
নির্নিমেষ সাক্ষী সেজে
চোখে চোখে
রেখে যাই শূন্যতার
দৃষ্টিকে অপলক।

সর্ষের দানার মতো
বিশ্লিষ্ট মুহূর্তেরা চারিদিকে
ছড়ায়।
জড়বস্তুর মত শুধু স্থানুর...
আমি আসি যাই, আমি...
যে শুধু এক ফোঁটা

বিরতি।