কফিন দৃশ্যে

সোনালী মন্ডল আইচ
বুনো চোখের অস্থির বন্যতাটুকু নাকফুলে
ঘুঙুরের গন্ডি ছিল মাপা

ভিখারি আসে দরাজ বাউল গায় ভিক্ষা চায়
এতেই নিন্দা রটে যাতা

পোকায় কাটা এসব বিস্ময় তোরঙ্গে তোলা
ভাদ্রে বৃষ্টির খবরে দৌড়

ছেলেবেলার মতো আকাশটা আর মনটা
ভিজতে থাকে শরীর চোখ

বলপেন সরে সরে আঁটসাঁট হুকের কবিতা হয়
আর গিরগিটির উপদ্রবে রাত

আমি সব খুলে সমাধির ঢাকনা তুলে শুয়ে পড়ি
বাতাসে বাউল গান গুনগুন

রাতের কালপুরুষ অতিথি সেবায় ব্যস্ত হলে
দেহদানের ইচ্ছেপত্র লিখে ফেলি...