সমস্ত দিন একলা কেটে সন্ধ্যায় মুখোমুখি

সৌভিক মারিক
সারাদিন থরে থরে বৃষ্টি
গুমোট কেটে ধুলো ধুয়ে গেল
বারান্দায় একলা কাগজ কলমে দাগ কাটছি
সময় জটিল ধাঁধায়
কখনো চা কখনো সিগারেট
ধোঁয়াশা ঠিক মাথার উপর
বিবর্ণ ভাষার মিশেল

কবিরা খুব একা
নিজের বলতে কাগজ কলম
সময়ও বয়স বোঝে না।

বিকেলের শেষটায় ফুটপাত ধরলাম ব‍্যাগ কাঁধে
আর একটু এগোলেই কফি শপ্
কাঁচদরজা খুলে কাছের টেবিলে এগিয়ে বসে
মুহূর্তে ওয়েটারকে ডাকলাম

সন্ধ্যে বেশ কালো হতে শুরু করেছে
সিগারেটটা ধরিয়ে ধোঁয়া কেটে আবিষ্কার করলাম

আমাকেই জিজ্ঞেস করল, কেমন আছো?
হেঁসে বেশ ভালো আছি বোঝালাম
বোধহয় উত্তরটা ওর ভালো লাগল না
বাকি খবরের স্তর সময়কে অতিক্রম করে চলল
তখনও আমি কোনো প্রশ্নই করিনি

ওয়েটার দু রাউন্ড কফি দিয়ে দাম নিয়ে গেল
পুরনো সব বন্ধ কথা বুকে ঠেলা দিচ্ছে
আর কিছুক্ষণ, তারপর আবার হারিয়ে যাবে
বিয়ের একবছর পর
আমার সত্তাকে একা করে দেওয়ার একবছর পর
চোখ পুড়িয়ে দেওয়ার দু বছর পর
প্রশ্ন এলো না সেই মুখে

তোমাকে একটা গিফট্ দিতে চাই, নেবে?
মাথা নেড়ে চাইল, বেশ।

ব‍্যাগ থেকে প্রাচীন কবিতার বইটা
তাতে কুড়িটি কবিতা গদ্যে
তার হাতে দিলাম একদশকের প্রশ্নের দলিল।

উত্তর মৌন
উত্তর হয়তো তার জানা নেই।