জাল ● তমোঘ্ন নস্কর


 

 

স্কচ এর গ্লাসে চুমুক দিতে দিতে গান শুনছিলাম রোজকার মত। এই সময়টা একান্তই আমার। একটা ভালো গজল আর একটু মদ্যপান। ফেলে আসা সময়ের স্মৃতিচারণ করি এইসময়।

খুট করে আওয়াজটা হতেই পিছন ঘুরলাম। হলদেটে আলোয় এক ভদ্রলোককে দেখা যাচ্ছে। বেশ ধোপদুরস্ত চেহারা, কোট প্যান্ট পরা, চমৎকার ব্যাকব্রাশ চুল। তবে মুখখানায় শেয়ালের মত বেশ খানিকটা দম্ভ আর কৌতুক মিশে আছে, সাধারণ ফ্রি হ্যান্ড করা চেহারা। আর তার হাতে একখানা…

চোখে একটা অদ্ভুত তাচ্ছিল্যের হাসি ফুটে উঠল লোকটার। খট করে সেফটি লক তোলার আওয়াজ পেলাম। সাইলেন্সর লাগানো বেঁটে মাউজারখানা ঠিক আমার বুকের দিকে তাক করা। ট্রিগারটা টিপে দিতো হয়তো কিন্তু এই সময় আমার কেন জানি না, হাসি পেল। ফিক করে বেরিয়ে এল হাসিটা।

নিমেষে ভ্রু জোড়া কুঁচকে গেল আগন্তুকের। আমি জানি, সাধারণত এই সমস্ত লোকজন, মানে এইসব পেশাদার খুনিরা প্রচণ্ড রকম আত্মবিশ্বাসী হয়। সামনে থাকা ভিকটিমের অসহায়তা তারা উপভোগ করে। কাজ হাসিলের আগের মুহূর্তে কিন্তু আমার এ হাসি তাকে  বিলক্ষণ চমকে দিয়েছে। হয়তো বা অপমানিতও করেছে।

 

বন্দুকটা আমার দিকে তাক করেই ঘরের আরেকটু ভিতরের দিকে ঢুকে এলেন ভদ্রলোক।

আপনি জানেন কি, কে আমায় পাঠিয়েছে?

জানি না, তবে আন্দাজ করতে পারি আমার স্ত্রীর কাজ।

আপনার স্ত্রী মোটা টাকা দিয়েছে আমায়। আপনাকে হত্যা করেই তবে যাব। না আজ অবধি কোনো আমার টার্গেট মিস হয়েছে, না পুলিশ আমার টিকিটি ছুঁতে পেরেছে।

তা বেশ তো, করুন।

কিন্তু আপনি হাসছেন কেন?

না, এই আর কি মরার আগে কারণ না জেনে মরব--- বিধাতার এই পরিহাসে হাসছিলাম আর কি… কৌতুকের ইচ্ছাটা বেরিয়ে এল এতদিন পর আবার উদ্যত অস্ত্রের সামনে দাঁড়িয়ে।

যদিও আমাদের মতো পেশাদারদের কাছে এটা নীতি বিরুদ্ধ তবুও বলি, কারণ আপনি এখনই মারা যাবেন। আপনার স্ত্রীর সঙ্গে আমার চুক্তি হয়েছে।

ওহ্‌, তাহলে তো আটঘাট বেঁধেই আমাকে মারতে নেমেছে।

উনি এখন ক্লাবে আছেন সবার সামনে বসে তাস খেলছেন। আপনি যখন খুন হবেন সে সময় অনেকে থাকবে, অন্তত পনেরোজন লোক সাক্ষী দেবে। কাজেই বুঝতেই পারছেন আপনার বাঁচার আর কোনো রাস্তা নেই। খারাপ লাগছে আপনার জন্য। কেন করেছিলেন এরকম একজন মেয়েকে বিয়ে? যার এত লোভ? তাছাড়া কথায় আছে ‘বৃদ্ধস্য তরুণী ভার্যা।’ আপনার এবং আপনার স্ত্রীর শুনেছি… মাফ করবেন ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ উত্থাপন করে ফেললাম। যদিও এটা আমার প্রফেশনাল ইথিকস এর বাইরে তবুও ওই আর কি বেরিয়ে গেলো…

বুঝলাম, আমার হাসিটা বেশ গায়ে লেগেছে আগন্তকের। আমায় ঝাল ঝেড়ে দিল।

না না, এতে মাফ চাওয়ার কিছু নেই। আমি ৬০ আর আমার স্ত্রী মাত্র ২৮। যুদ্ধ থেকে ফেরার পর এই বিশাল এস্টেট, পৈত্রিক সম্পত্তির মাঝে আমি একা হয়ে গিয়েছি অথচ দীর্ঘকাল যুদ্ধ থেকে মনটাও একটা সঙ্গী চাইছিল, তাই বিয়ে করা। লোভী বলেই আমাকে বিয়ে করেছে, না হলে ৩২ বছরের ফারাকে কেউ কি বিয়ে করে? ভেবেছিলাম কয়েকবছর পরে হয়ত একটা মোটা টাকার ক্ষতিপূরণসহ ডিভোর্স আদায় করবে কিন্তু এ দেখি পুরো সম্পত্তি চায়। আপনি তো আমাকে মেরে দেবেন তাই বলে দিলাম। পেটে কথা রেখে মরা ঠিক নয়। কী হল,  আবার দাঁড়িয়ে রইলেন যে কাজকর্ম সারুন। আর না হলে চমৎকার স্কচ ছিল। ৪০ বছরের পুরোনো,  আয়ারল্যান্ডের খাঁটি  জিনিস। একটু চেখে দেখবেন নাকি মশাই? অবশ্য জানি না সেটা আপনার প্রফেশনাল ইথিকস এর বাইরে হবে কিনা… তবে আপনি তো বললেন আপনি আজ পর্যন্ত কোনদিন ধরা পড়েননি। তাছাড়া আপনার হাতে বন্দুক আছে। আমি বছর ষাটের একজন বৃদ্ধ। তায় বাতে লাঠি ছাড়া চলতে পারি না।  আমার পক্ষে সম্ভব আপনার বিরুদ্ধে কিছু করা…

হুম তা খাওয়াই যায়, এক পাত্তর চলতেই পারে। তা বলে আপনি আবার ভাববেন না আপনি আমায় নেশা করিয়ে দিতে পারবেন। স্কচ খাব, তারপর আপনাকে গুলি করব। গ্লাসটা মুছে দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে রেখে দেব আগের জায়গায়। গ্লাভস পরে  ঘরের কিছু জিনিস এলোমেলো করে আপনার পোষাক বিস্রস্ত করে দিয়ে চলে যাব। পুলিশ ভাববে কেউ চুরি ডাকাতি করতে ঢুকেছিল। ব্রিগেডিয়ার স্বরাজ সেনগুপ্ত  বয়স্ক হলেও স্বভাবসুলভ রিফ্লেক্সে বাধা দিতে চেয়েছিলেন। তাই ধ্বস্তাধস্তি, গুলি বেরিয়ে যাওয়া এবং আপনার খুন হওয়া। খুন হতেই খুনী ভয়ে পালিয়ে গেছে। বিশেষ কিছু দামী জিনিস নিতে পারেনি।

আপনার তো দারুণ বুদ্ধি মশাই, সত্যিই একটা বিশ্বাসযোগ্য গল্প! তাহলে আমি পেগ তৈরি করি?

আমার সামনে করুন। চালাকির চেষ্টা করবেন না।

লাঠিটা হাতে নিয়ে আমি খুঁড়িয়ে এগিয়ে গেলাম। ওর সামনেই ডেকান্টারের টুলটায় বসে পড়লাম।  সামনেই তৈরি করলাম পেগদুটো। তারপর নিজের টায় একটা লম্বা চুমুক দিয়ে ওকে হাত দেখালাম। চুমুকটা দেয়ার পর মিনিটখানেক আমার শারীরিক প্রতিক্রিয়া দেখে তবেই নিশ্চিন্ত হয়ে বসলেন খুনি। একটা মৃদু চুমুক দিয়ে বললেন, সত্যিই, লাজাবাব! অদ্ভুত লোক মশাই আপনি! নিজের খুনিকে স্কচ খাওয়াচ্ছেন!

আরে মশাই স্কচ হল পুরুষের আভিজাত্য। সফল পুরুষ আর স্কচ কিন্তু সমার্থক। এই সোনালী তরলের আস্বাদ যদি মৃত্যু মুহূর্তে কারো সাথে ভাগ করে নেওয়া যায় তাহলে ক্ষতি কী? মরতে তো সেই একদিন হবেই।

ভদ্রলোকের নীরব চুমুক দেওয়া দেখে বুঝলাম আমার কথা তিনি মেনে নিলেন। দু’চারটে নীরব চুমুকের পর আবার কথা পাড়লাম।

এই যে ছবিটা দেখছেন ঐ ছবিটা বার্মিংহাম এর এক অকশন হাউজ থেকে এনেছিলাম। আজকের বাজারে কমসে কম পঞ্চাশ লক্ষ দাম হওয়া উচিত। এর যে বর্ডারের কাজ দেখছেন সোনার জলে করা। আর এই যে আর্চ ডিউক অব এরিন, ব্যারন অব স্যাভয় এদের যে মাথায় মুকুট বা হাতের তরবারি এগুলো সোনা-রুপোর জলে আঁকা।

আপনি আমায় লোভ  দেখাচ্ছেন নাকি? অর্থ দিয়ে মৃত্যু আটকাবেন ভাবছেন? খামোকাই চেষ্টা করেছেন মশাই। আমি পেশাদার খুনি। আমার চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অর্থের লোভ দেখিয়ে লাভ নেই।

ও বুঝেছি। কিন্তু মশাই একটা কাজ বাকি রয়ে গেছে যে। আপনি যেহেতু পেশাদার তাই কথাটুকু বলছি সাহস করে। হয়তো বুঝবেন। ভিতরে আমার একটা উইল আছে। সেখানে একটা-দুটো সই না করলে আমার মৃত্যুর পর এ বিশাল সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা হবে। আমি আপনাকে বিশেষ কিছু করতে বলছি না, এই ছবির পিছনে আমার একটা লোহার সিন্দুক আছে। আমি শুধু কাগজটা বের করে, সই করে আবার ঢুকিয়ে দেবো। দেখুন আপনি যেমন পেশাদার আমিও তেমন। আমি বিনা পয়সায় কাউকে দিয়ে কাজ করাই না। আমায় এই কাজটুকু করতে সুযোগ দেবার বদলে আপনাকে এই জেড পাথরের মূর্তিটা দেবো। এটা অমূল্য। বার্মা থেকে নিয়ে আসা। আপনার চুরির ছবিটাও আরো নিখুঁত হবে।

খুনির মুখে স্পষ্ট দোনামোনাটা দেখলাম। তারপর তার অহংকার-ই জয় পেল। বুড়ো মানুষ, তাছাড়া হাতে বন্দুক আছে, ব্যাটা করবে কী! খুনি আমায় ছাড় দিলো।

আমি এগিয়ে গেলাম আমার সিন্দুকের দিকে। নম্বর মিলিয়ে কাগজটা বের করে আবার বন্ধ করে দিলাম সিন্দুক।

খুনি সতর্ক হয়ে আমার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। এবার বলল, আরে মশাই করলেন কী আপনি তো আপনার গ্লাসটাই ভিতর রেখে দিলেন।

এবার আমি মুচকি হেসে আবার ফিরে এলাম পুরোনো জায়গায়। গ্লাসটা মনের ভুলে ওখানে যায়নি, আমিই রেখেছি ওখানে।

মানে!

মানে আপনি ছবির দিকে তিনবার তাকিয়েছেন। চুক্তির বাইরে আপনার লোভ ছিল না ঠিকই, কিন্তু আপনি আমার কথা বলার ফাঁকে তিনবার ছবির দিকে দেখেছেন। বর্ডারে পাঁচ সেকেন্ড আর মুকুটে সাত সেকেন্ড নষ্ট করেছেন। আর তখনই আমি অদলবদল করে নিয়েছি গ্লাসটা। এবার পরিষ্কার হচ্ছে কিছু?

না। কী বলতে চাইছেন আপনি? এর মানে কী?

মানে এটাই যে আপনি এখন আমায় গুলি করে চলে যেতে পারেন স্বচ্ছন্দে। কিন্তু পুলিশ আসবে, তদারক করবে নিশ্চয়ই। আমার সিন্দুক ভেঙে তখন আপনার আঙ্গুলের ছাপ দেওয়া এই গ্লাসটা পাওয়া যাবে। তদন্ত হবে। তারপর যা হওয়ার তাই হবে।

একটা তাচ্ছিল্যের হাসি হাসল লোকটা। আমাকে ভয় দেখাচ্ছেন? কী ভাবেন আমায়? আমাকে খুঁজে পাবে এমন সাধ্যি অন্তত এই পুলিশদের নেই।

কে বললে শুধু পুলিশ আপনাকে খুঁজবে? আপনি তো পেশাদার খুনি, কাজের আগে টার্গেটের নিশ্চয়ই কিছু খোঁজখবর করেন। তাহলে এটাও জানেন নিশ্চয়ই একজন সাধারণ  ব্যবসায়ীকে মারা আর একজন অবসরপ্রাপ্ত ও সরকারকে মন্ত্রণা প্রদানকারী যুদ্ধ বিশারদকে মারা এক নয়। এটাকে বিদেশী শক্তির ষড়যন্ত্র ভেবে নিয়ে কারা আপনার পিছু ধাওয়া করবে আশা করি আপনি বুঝতে পারছেন। তাদের হাত থেকে বাঁচতে পারবেন তো?

মুহূর্তে ঝুলে গেল লোকটার চোয়াল। এতক্ষণে লোকটার মুখের তাচ্ছিল্য  ভাবটা ভেঙেচুরে গেছে। যেন ঠিক বিশ্বাস করতে পারছে না ব্যাপারখানা। কাঁপা কাঁপা গলায় বলল, আমি কিন্তু এক্ষুনি গুলি করে দেবো আপনি বের করুন গ্লাসটা…

আমি হেসে বললাম, পাগল! মরতে ভয় আমি পাই না, সে বহু যুগ আগেই। মরার ভয় যুদ্ধক্ষেত্রে যাবার আগেই বিসর্জন দিয়ে এসেছি। আপনি যে আমায় মরার ভয় দেখাচ্ছেন বড়, বরং আপনি নিজে যাতে ফাঁসির ভয় পান, সেই ব্যবস্থাটাই করে দিয়ে গেলাম। নিন মারুন। আপনার স্ত্রী হয়তো অপেক্ষা করে আছে বাড়িতে, ফাঁসিতে ঝুলবেন আর তাকেও ডোবাবেন।

ধপ করে আবার টুলে বসে পড়ল লোকটা। তার আর প্রশ্ন বা প্রতিবাদের জায়গা নেই । অবরোধ ভেঙে চুরমার। স্খলিত স্বরে বলল, আপনি কী চান? আমি আপনাকে ছেড়ে দিই? কিন্তু আমাকে মেরে আপনার লাভ কী! আমি তো সামান্য কন্ট্রাক্ট কিলার। আপনাকে তো মারতে চান আপনার স্ত্রী। আমাকে যদি ধরিয়ে দেন স্ত্রীর দোষ কি প্রমাণ হবে? আমার এজেন্সি আগেই আমাকে মেরে দেবে। আপনার স্ত্রী অন্য কাউকে দিয়ে আপনাকে মারাবে।

ঠিক একদম আমার মনের কথাটাই বলেছেন। এইতো আপনার বুদ্ধি খুলছে! তাহলে একটু  ঘুরিয়ে দেওয়া যাক সেই একই ডিলটাকে। আমার স্ত্রীর দেওয়া টাকাটা তো আছেই, সঙ্গে আমি এই জেড পাথরের মূর্তিটাও দিচ্ছি। আমার স্ত্রীকে হত্যা করুন। আমার স্ত্রী ঠিক এগারোটার সময় তার নির্মাল্য স্ট্রিটের ফ্ল্যাটে থাকবে। আমি সে সময়ে ক্লাবে থাকব। আমার বন্ধু বান্ধবকে নিয়ে তাসের আড্ডায় বসবো। সবাই সাক্ষ্য দেবে আমি ক্লাবে। আপনি চুপি চুপি কাজ সারবেন। কেউ সন্দেহ করবে না।

খুনি ডিল পাক্কা করে করে মূর্তি  নিয়ে বেরিয়ে গেল। আমি এবার একটা চুরুট ধরালাম, টেবিলে পড়ে রইল পেশাদার খুনির আধ খাওয়া মদের গ্লাস।

*******

আমি গ্লাসটা নিয়ে থানায় যাব না। গ্লাসটা চুপি চুপি আমাদের নির্মাল্য স্ট্রিটের ফ্ল্যাটের বেডরুমের খাটের তলায় রেখে আসবো, সাথে আরেকটা মদ ভর্তি গ্লাস। বউএর হাতের ছাপ ওয়ালা গ্লাস এ বাড়িতে প্রচুর। একটা নিলেই হল। পুলিশ আসবে। পুলিশ মৃতদেহ দেখবে আর এই আঙুলের ছাপ ওয়ালা গ্লাসটা পাবে। আমি একে আমার স্ত্রীর লুচ্চা প্রেমিক সাজাব। যে টাকার জন্য স্ত্রীকে চাপ দেয়। মূর্তিটাও সেই-ই চুরি করেছে। এদিন রাগারাগির মুহূর্তে আমার স্ত্রীকে খুন করে। তারপর ভয় পেয়ে পালিয়েছে। ঠিক ওরই প্ল্যান আমার মতো করে।

হাসি পাচ্ছিল লোকটার কথা ভেবে। কথায় কথায় নিজেকে পেশাদার বলে অথচ  স্নায়ুর ওপর এতটুকু দখল নেই। চোখে চোখ রেখে মিথ্যা বললাম, আর ভয় পেয়ে নিজের গ্লাসটাই টেবিলে রেখে চলে গেল। দশ সেকেন্ডে গ্লাস বদলানো যায় কিনা জানি না কিন্তু গুছিয়ে মিথ্যা দিব্যি বলা যায়। নিজের ফাঁসির দড়ির গিঁটটা নিজেই বেঁধে গেল বেচারা।

নাহ আটটা বাজে। বেরিয়ে পড়ি। নির্মাল্য স্ট্রিট হয়ে ক্লাবে যাব। আমি উঠে নিজের জামাকাপড় পরে নিলাম। হাতে গ্লাভস পড়লাম আর তারপর আমার সিন্দুক থেকে বের করে আনলাম আমারই খাওয়া মদের গ্লাসটা, ধুয়ে মুছে রেখে দিলাম টেবিলে। এটাকে তুলে রাখতে হবে। আজ আমার প্রাণ বাঁচিয়েছে এ।

 

জ্যাক রিচির ‘শ্যাটার প্রুফ’ এর ছায়া অবলম্বনে।