আদি অস্ট্রাল জাতি ‘হো’ - কমলবিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

আদি অস্ট্রাল জাতি ‘হো’
কমলবিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

ভারতবর্ষের ইতিহাসে আদিবাসীদের এক উল্লেখযোগ্য স্থান আছে। প্রতিটি প্রদেশেই এদের দেখতে পাওয়া যায়। পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি ভৌগলিক অঞ্চলের মধ্যে প্রায় চারটিতেই আদিবাসীদের বসবাস লক্ষ্য করা যায়। সাঁওতাল, মুণ্ডা, ওরাঁও, লেপচা, লোধা, খাড়িয়া প্রভৃতি আদিবাসীদের মতো হো আদিবাসীদেরও দেখা মেলে এই পশ্চিমবঙ্গে। যদিও তারা সংখ্যায় অতি নগণ্য। ১৯৭১ সালের আদমসুমারী অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে হো-দের জনসংখ্যা মাত্র ১০৩৬ জন। শোনা যায়, হো-দের আদিনিবাস ছিল ছোট নাগপুর অঞ্চলে। সিংভূমের ভুঁইয়াদের যুদ্ধে পরাজিত করে সেখানে বহুদিন তারা স্বাধীনভাবে বসবাস করে। পরে দীর্ঘ সংগ্রামের পর ইংরেজদের কাছে বশ্যতা স্বীকার করে।

প্রত্যেক আদিবাসী সমাজেই কিছু-না-কিছু লোককথা থাকে। হো-দের উৎপত্তি নিয়েও এরকম একটা গল্প আছে। হো-দের বিশ্বাস প্রকৃতির সবকিছু সৃষ্টির মূলে আছে তাদের দুই দেবতা— (১) অতে বড়াম (ভূমি দেবতা) এবং (২) সিংবোঙ্গা (সূর্যদেব)। পৃথিবীতে প্রাণের স্পন্দন আনার জন্য এরা দু’জনে মিলে জীবজন্তু, গাছপালা সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সৃষ্টি করেন। গুহাবাসী এই ছেলেটি ও মেয়েটি সিংবোঙ্গার কাছে এক সময় ‘ইলি’ অর্থাৎ ধেনো মদ তৈরি করতে শেখে। সেই মদ খেয়ে তাদের কামের উদ্রেক হয়। এরফলে বারোটি ছেলে ও বারোটি মেয়ের জন্ম হয়। পরবর্তীকালে এরা জোড় বেঁধে ঘর-সংসার শুরু করে। এরাই হল হো-দের পূর্বপুরুষ।

আদি অস্ট্রাল জাতির মধ্যে হো-রাই দেখতে সুন্দর। ঐতিহাসিকদের মতে হো-দের সঙ্গে আর্য রক্তের সংমিশ্রণ ঘটেছে সব চেয়ে বেশি।

দু-তিনটি পাড়া নিয়ে হো-দের এক একটি গ্রাম তৈরি হয়। এই পাড়াগুলিকে বলা হয় টোলা। সাধারণত পাহাড়ের গায়ে কিংবা জঙ্গলের ধারে এদের গ্রামগুলি দেখা যায়। গ্রামের মাঝখানে থাকে কিছুটা ফাঁকা জায়গা। একে বলা হয় আখড়া। জায়গাটাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখা হয়। দিনের শেষে সবাই গ্রামে ফিরে এলে এখানে বসে নাচ-গানের আসর। এছাড়াও গ্রামের কোনো আলোচনা সভা, বিচার সভা ইত্যাদিও এখানেই হয়। গ্রামের একদিকে থাকে জাহেরা বা দেবস্থান আর গ্রামের বাইরে থাকে প্রত্যেক গোত্রের জন্য আলাদা আলাদা সমাধিক্ষেত্র। এই সমাধিক্ষেত্রগুলিকে হো-দের ভাষায় বলা হয় ‘সমান’। হো-রা অত্যন্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। এদের সৌন্দর্যবোধও দেখার মতো। খড়ের ছাউনি দেওয়া মাটির ঘরগুলির দেওয়ালে নানারকম রঙ দিয়ে মেয়েরা সুন্দর সুন্দর ছবি আঁকে। ছবির বিষয়বস্তু সাধারণত জীবজন্তু ও গাছপালা হয়। ঘরগুলি বেশ বড় হয় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা দু’কক্ষের— বড়োটি শোওয়ার ঘর এবং ছোটটি রান্না ঘর। এদের কাছে রান্না ঘরের গুরুত্বই সব চেয়ে বেশি। অন্য কোনো সম্প্রদায়ের লোক এই ঘরে প্রবেশ করতে পারে না। কারণ এখানে থাকে পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে পূজ্যদ্রব্য উৎসর্গ করার জন্য একটি মাটির বেদী। একে বলা হয় আদিং। এমনকী পরিবারের কোনো মেয়ের বিয়ে হয়ে অন্য পরিবারে চলে যাওয়ার পর তাকেও আর এই ঘরে প্রবেশ করতে বা বেদী স্পর্শ করতে দেওয়া হয় না। ভুলক্রমে কেউ কখনো প্রবেশ করে ফেললে ওই ঘরের রান্নার সমস্ত সরঞ্জাম অপবিত্র হয়েছে মনে করে বাইরে ফেলে দেওয়া হয় এবং পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে একটি মুর্গী উৎসর্গ করে ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়।

অরণ্যের সন্তান হলেও হো-রমণীরা গয়না পরতে খুব ভালোবাসে। সোনার গয়নার প্রতি আকর্ষণ থাকলেও অর্থনৈতিক কারণে রুপার গয়নার ব্যবহারই বেশি দেখা যায়। তুলনায় কাঁচের চুড়ির ব্যবহার অনেক কম। সেদিক থেকে হো-দের পোষাক-পরিচ্ছদ অত্যন্ত সাদাসিধা। ছেলেদের মোটা ধুতি আর মেয়েদের মোটা শাড়ী লজ্জা নিবারণের জন্য যথেষ্ট। শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে ব্যবহার করে একটি চাদর মাত্র। তবে কোনো কোনো পরিবারে আধুনিকতার স্পর্শ লক্ষ্য করা যায়।

বনসংরক্ষণ আইন এবং শিকারের অপ্রতুলতার জন্য হো-দের আদি উপজীবিকা পরিত্যাগ করে বর্তমানে কৃষিকাজকেই উপজীবিকা হিসেবে বেছে নিতে হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিজস্ব জমি না থাকায় ক্ষেতমজুরি করে এদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। সিংভূম অঞ্চলে এক সময় স্বাধীনভাবে বসবাসকারি হো-রা আজ নিঃস্ব থেকে নিঃসম্বল। বেঁচে থাকার লড়াইয়ে আজ তারা দিনমজুর।

অন্যান্য আদিবাসীদের মতো হো-দের মধ্যেও ‘কিলি’ অর্থাৎ গোত্র বিভাগ দেখা যায়। প্রতিটি গোত্রের ধর্মীয় প্রতীক বা টোটেম আছে। গ্রাম থাকলেই গ্রাম প্রধান থাকে। হো সমাজে গ্রাম প্রধানকে বলা হয় মুণ্ডা। তিনিই গ্রামে উদ্ভুত কোনো সমস্যার সমাধান করেন এবং সৎপরামর্শ দেন। এরজন্য তিনি কোনো আর্থিক অনুদান পাননা ঠিকই তবে সমাজে বিশেষ মর্যাদা পেয়ে থাকেন। প্রত্যেক মুণ্ডারই একজন সাহায্যকারী থাকে। তাকে বলা হয় ডাকুয়া। অনেকগুলি গ্রাম নিয়ে তৈরি হয় অঞ্চল। একে বলে পিড়। পিড়-এর প্রধানকে বলা হয় মানকি। পশ্চিমবঙ্গে হো-দের বসতি খুব কম হওয়ায় পিড় অথবা মানকি এখানে বিশেষ দেখা যায় না। তবে বিহার ও ছোটনাগপুরের হো-অধ্যুষিত অঞ্চলে এটা দেখা যায়।

হো-দের মধ্যে বাল্যবিবাহ এবং একই গোত্রে বিবাহের প্রচলন নেই। তবে এদের সমাজে চার ধরনের বিবাহ স্বীকৃত।

● আন্দি বিবাহঃ এই বিবাহে পাত্র-পাত্রী পছন্দ করার দায়িত্ব থাকে অভিভাবকের। এই ধরনের বিবাহ খুব ব্যয়বহুল। কারণ কন্যাপণ লাগে প্রচুর।

● অপর তাপি বিবাহঃ কোনো ছেলে জোর করে কোনো মেয়ের কপালে সিঁদুর লাগিয়ে দিলে মেয়েটিকে তার বৈধ স্ত্রী বলে গণ্য করা হয়। তবে বর্তমানে এ ধরনের বিবাহ সমাজে ভালো চোখে দেখা হয় না। তাই আগে থেকে ছেলেমেয়ের মধ্যে বোঝাপড়া না থাকলে এই বিবাহ আজকাল খুব একটা হয় না।

● রাজিখুশি বিবাহঃ ছেলে ও মেয়ে পরস্পরকে ভালোবেসে বিয়ে করলে তাকে বলে রাজিখুশি বিবাহ।

● আনাদের বিবাহঃ কোনো মেয়ে কোনো ছেলেকে ভালোবেসে বিয়ে করতে চাইলে (ছেলের মতামতের উপর নির্ভর না করে) সে একদিন গোধুলিলগ্নে স্বেচ্ছায় ভাবী শশুড় বাড়ি এসে উপস্থিত হয় এবং ভাবী শাশুড়ির কাছে তার মনের কথা ব্যক্ত করে। মেয়েটির প্রস্তাব ছেলের মা প্রথমে মেনে নিতে পারে না। তাই সে মেয়েটির উপর শুরু করে দৈহিক ও মানসিক নির্যাতন। এই পীড়ন সহ্য করে মেয়েটি যদি ভাবী শশুড় বাড়িতে থেকে যেতে পারে তখন গ্রামের অন্যান্যদের মধ্যস্থতায় মেয়েটিকে পুত্রবধু হিসেবে সেই পরিবারে ঠাঁই দেওয়া হয়।

এই চার ধরনের বিবাহের মধ্যে আন্দি বিবাহের সামাজিক মর্যাদা সব থেকে বেশি। তাই এই বিবাহে আনন্দ উৎসবও হয় খুব ধুমধাম করে। স্ত্রী-আচার থেকে আরম্ভ করে পাড়া-পড়শিদের নিয়ে নাচগান, খানাপিনা সবকিছুরই ব্যবস্থা থাকে পাত্রের বাড়িতে। বিবাহের দিনক্ষণ ঠিক হলে বরযাত্রী সহ বর কনে বাড়িতে যায়। সঙ্গে থাকে গ্রামের পুরোহিত অর্থাৎ দিউরি। বর-বধুর কল্যাণ কামনায় দিউরি সিংবোঙ্গার নামে মন্ত্রপাঠ করে। সেদিন কনে বাড়িতেও থাকে বরযাত্রী এবং আমন্ত্রিতদের জন্য সাধ্যমতো আপ্যায়নের ব্যবস্থা।

হো সমাজে পিতার মৃত্যুর পর তার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয় একমাত্র ছেলেরা। অথচ হো-পরিবারে কেউ মারা গেলে মৃতদেহ সৎকারে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করে পরিবারের মেয়েরা। মৃতদেহ দাহ করাই এই সমাজের প্রচলিত রীতি। শ্মশানে চিতায় প্রথম অগ্নি সংযোগের অধিকারিণী হল মৃতার স্ত্রী, অবিবাহিত কন্যা অথবা বোন। দাহ শেষে জল দিয়ে চিতা নিভিয়ে মৃত ব্যক্তিটির অস্থি সংগ্রহ করা হয়। এরপরে সেটি একটি মাটির পাত্রে রেখে পরিবারের সসানে পুঁতে দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠানকে বলা হয় জাঙ তোপা। এই অনুষ্ঠানে একমাত্র পরিবারের লোকেরাই উপস্থিত থাকে। জাঙ তোপা অনুষ্ঠান শেষে এই মৃত ব্যক্তির আত্মাকে ঘরে নির্মিত মাটির বেদীতে অধিষ্ঠানের জন্য তারা বেদীর সামনে এসে পূর্বপুরুষদের কাছে অনুরোধ করে। এরপর থেকে এই নতুন অধিষ্ঠিত আত্মাকেও পূজ্যদ্রব্য উৎসর্গ করা হয়।

হো-দের বিশ্বাস প্রকৃতির মধ্যেই দেবদেবীর অস্তিত্ব আছে। তাই তাদের দেবদেবীর সংখ্যাও কম নয়। এদের মধ্যে অবশ্যই সিংবোঙ্গা প্রধান দেবতা। অন্যান্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—

● মারাং বোঙ্গা বা বুরু বোঙ্গা— পাহাড়-পর্বতের দেবতা। অনাবৃষ্টি হলে পূজা করা হয়।

● নাগে এরা— ছোট জলাশয় ও ঝরণার দেবী।

● পাউড়ি চুরদু বোঙ্গা—গভীর জলাশয়ের দেবতা।

● বাগিয়া বোঙ্গা— জঙ্গলের দেবতা। বন্য জীবজন্তুদের হাত থেকে রক্ষা করেন।

● ইকির বোঙ্গা— নদীর দেবতা।

● সাঙ্গার বোঙ্গা— শিকারের দেবতা।

● সনা চুরদু বোঙ্গা— ধনদৌলতের দেবতা।

এছাড়াও আছেন জিদ বোঙ্গা, কুমবু বোঙ্গা, ডাটা বোঙ্গা, হাংকার বোঙ্গা ইত্যাদি।

ভুতের ভয় এদের ভীষণ। বিশেষ করে যুগিনী ভুতকে। গ্রামে কোনো অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু হলে সে যুগিনী ভুত হয়, এমনই এদের বিশ্বাস। তাই তারা তুক্‌তাক্‌ এবং যাদুমন্ত্রে বিশ্বাসী।

বারো মাসে তেরো পার্বণের মতো হো সমাজে সারা বছর ধরেই উৎসব-অনুষ্ঠান, পূজা-পার্বণ লেগেই থাকে। এই সব উৎসবের সিংহভাগটাই অবশ্য চাষবাসকে কেন্দ্র করে। তাই পৌষ সংক্রান্তিতে হয় এদের পৌষ পরব। মাঘ মাসে অর্থাৎ, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে হয় মাঘ পরব। দুষ্ট অশরীরী শক্তির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এরা এই সময় সিংবোঙ্গার উদ্দেশ্যে পূজা দেয়। এটাই এদের সব থেকে বড়ো পরব এবং চলে পাঁচদিন ধরে। মার্চ-এপ্রিল মাস। ফাগুন লেগেছে বনে বনে। বসন্তের ছোঁয়ায় শাল-সেগুনে লেগেছে শিহরণ। সমস্ত শালবন ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে। আকাশ বাতাস ভরে গেছে মহুয়ার গন্ধে। ভোরের শিশিরবিন্দুর সঙ্গে মিলেমিশে ছড়িয়ে আছে অজস্র মহুয়া ফুল মহুয়া গাছের গোড়ায়। ফুলের অলংকারে প্রকৃতির অপরূপ সাজ দেখে বনবাসী হো-রা আর নিজেদের সামলে রাখতে পারে না। তারাও মেতে ওঠে উৎসবে। এই উৎসবের নাম বাহা পরব। ‘বাহা’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ ফুল। আদিবাসী হো-দের কাছে এই ফুলই হল বসন্তোৎসবের প্রধান অঙ্গ। তাই মেয়েরা খোঁপায় গোঁজে শাল ফুল আর সংগ্রহ করে মহুয়া। ধান গাছে নতুন শীষ এলে তাতে যাতে পোঁকা না লাগে তার জন্য এরা পালন করে বাতাউলি উৎসব। ধান ঝাড়াই করে শস্য ঘরে উঠলে কোলোম-বোঙ্গা-উরা উৎসবে এরা মেতে ওঠে। নাচ গানই এই উৎসবের প্রধান অঙ্গ। ‘জম-নামা’ উৎসব পালিত হয় আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে। এটা অনেকটা আমাদের নবান্ন উৎসবের মতো।

পশ্চিমবঙ্গে কোনো গ্রামেই এখনার সম্পূর্ণ হো বসতি দেখা যায় না। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হো পরিবারগুলি ধীরে ধীরে কবে যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে তার খবরও হয়তো কেউ পাবে না। এদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য শুধু সরকারি স্তরে নয়, আন্তর্জাতিক স্তরেও ভাবনা চিন্তার প্রয়োজন আছে।

তথ্য সূত্রঃ

১) পশ্চিমবঙ্গের আদিবাসী সমাজ (প্রথম খণ্ড), ধীরেন্দ্রনাথ বাস্কে; পরিবেশকঃ সুবর্ণ রেখা, ৭৩ মহাত্মা গান্ধী রোড, কলকাতা।

২) অসামান্য মানভূম, তপন কর; আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা- ৯।

৩) ভারতের আদিবাসী, সুবোধ ঘোষ; ইণ্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েটেড পাবলিশিং কোং লিঃ, ৮সি রমাথ মজুমদার স্ট্রিট, কলকাতা।

৪) আদিবাসী ইতিবৃত্ত, উন্নয়ন; ৩৬/১ গরচা রোড, কলিকাতা – ৭০০০১৯।

৫) The Tribes and castes of Bengal, H.H.Risloy

৬) Tribal Life in India, Nirmal Kumar Bose; National Book Trust, India, NewDelhi.