কমরেড - নীলাদ্রি মুখার্জি

অলংকরণ - পার্থ মুখার্জী

‘রজতদা, ওরা বজ্র গাড়ি এনেছে আর সাথে জলকামান আর বুলডোজার।’

সরোজিনী ইনস্টিটিউটের মাঠে তখন দিনের শেষ আলো এসে ছুঁয়েছে। কথাটা শুনে একবার ওর চারপাশে জড়ো হওয়া ভিড়ের ওপর চোখ বোলাল রজতাভ। সদ‍্য কুড়ি পার করা ছেলেমেয়েগুলোর চোখে ভয়মিশ্রিত অনিশ্চয়তার ছাপ স্পষ্ট এবং তার যথার্থতা রয়েছে। গত তিনদিন ধরে রাষ্ট্রশক্তি ক্রমাগত চেষ্টা করে যাচ্ছে ওদের আন্দোলনকে ভন্ডুল করার। সংবাদমাধ্যমকে কলেজের চৌহদ্দি মারাতে দেয়নি,গোটা কলেজ ঘিরে রেখেছে শাসকদলের ক‍্যাডার বাহিনী আর উর্দিধারীরা। নেহাত কলেজের পঁচিশ ফুটের দেওয়ালটা টপকাতে পারছে না তাই বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি নাহলে এতক্ষণে রাষ্ট্রের ক্ষমতা কাকে বলে, দেখিয়ে দিত সরকার বাহাদুর। পারেনি মূলতঃ রজতাভর গেরিলা কৌশলের জন্য, কেননা যতবারই ক‍্যাডাররা পাঁচিল টপকাতে গেছে ততবারই রজতাভর মোতায়েন করায় ছেলেরা পাঁচিলের এপার থেকে লাঠির খোঁচা দিয়ে তাদের নামিয়ে দিয়েছে ওপারে। পঞ্চাশ জন ছেলেমেয়ে এমনভাবে মূল ফাটককে ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে যে তাদেরকে বুলডোজ না করে ভেতরে ঢোকা অসম্ভব। তবে আর আশা নেই পাঁচিল ভেঙেই ভিতরে ঢুকবে ওরা, আর তারপর...

কৃশানু মারা যাওয়ার পরের দিনই শুরু হয়েছে এই অবরোধ। গরীব দিনমজুরের ছেলে কৃশানু, সেমেস্টারে ভালো ফল করে ক‍্যাম্পাস প্লেসমেন্টের প্রথম দফাতেই একটি বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি পেয়ে সুখের স্বপ্ন বুনেছিল চিরকালীন নির্বিবাদী ছেলেটা। কিন্তু সেই ঘটনাটা তছনছ করে দিল কৃশানুর জীবন; সে যে বড় ভালোবাসত মেয়েটাকে। কলেজ থেকে ফেরার পথে রেল-কলোনির পাশের জঙ্গলে পৌষালিকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল সম্রাট আর ওর বন্ধুরা। সদ‍্য সাবালিকা শরীরটাকে ভোগ করে পাশবিক উল্লাসে তার যোনিতে ঢুকিয়ে দিয়েছিল ড্রাফটারের স্কেলটাকে। পৌষালি কিন্তু বিনাযুদ্ধে পালিয়ে যায়নি, এরপরেও দশদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়েছিল আইসিইউ এর বিছানায়। পাগলের মতন বাঁকুড়ার বাড়ি থেকে ছুটে এসেছিল কৃশানু, পৌষালির বাবা-মাকে সাথে নিয়ে বিচারের ভিক্ষা চেয়ে বেরিয়েছিল লোকাল থানা আর পার্টি অফিসগুলোতে। পুলিশ অবশ্য একেবারে নিষ্ক্রিয় থাকেনি, চার্জশিটে সম্রাট ও তার বন্ধুদের নাম উল্লেখ না করে লিখেছিল ‘ব‍্যবসায়িক গোলযোগে জনৈকা দেহপসারিনী ধর্ষিতা হয়েছেন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের হাতে’। পুলিশকে অবশ্য বিশেষ দোষ দেওয়া যায় না, কেননা সরোজিনী ইনস্টিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ডের মেম্বার এবং শাসক দলের লোকাল কমিটির চেয়ারম্যান হলেন, সম্রাটের বাবা অভিমন্যু দাস। আর কৃশানুদের সাথে সাধারণত যা ঘটে থাকে, এক্ষেত্রেও তার অন‍্যথা হয়নি। হস্টেলের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পড়া দেহটা আঁকড়ে স্থবির হয়ে বসে ছিল সনৎ, কৃশানুর সুহৃদ, তারই সহপাঠী সনৎ মন্ডল। ঘটনার সময় কলেজেই ছিল অভিমন্যু দাস; খবরটা শুনেই অবশ‍্য পিঠটান দেওয়ার চেষ্টা করেছিল সে, কিন্তু ততক্ষণে সচেতন হয়ে যাওয়া রজতাভর রচনা করা চক্রব‍্যুহ ভেদ করার ক্ষমতা এ যুগের অভিমন্যুরও ছিল না।

অসহায়ের মতন মাঠের গোলপোস্টে হেলান দিয়ে বসে আছে রজতাভ। অসহায়তার যথেষ্ট কারণও আছে, লড়াই তো শুধু সরকার আর শাসক দলের সঙ্গে নয়, লড়াই খিদের সাথে, লড়াই ধৈর্ঘ্যের সাথে। কলেজের সামনের দোকানের নিবারণদা, পাঁচিলের ফাঁক দিয়ে প্রথমদিন বিস্কুট আর জল দিয়েছিল বটে কিন্তু ক‍্যাডাররা খবর পেয়ে সেটাও বন্ধ করেছে। সদ‍্য কুড়ি পেরোনো ছেলে মেয়েগুলোর পরিবারের জন্য উৎকন্ঠা ও আর নিদারুণ খিদে তেষ্টায় শুকিয়ে যাওয়া মুখগুলোর দিকে আর তাকানো যাচ্ছে না।

হঠাৎ একটা কন্ঠস্বর শুনে চমকে ফিরে তাকাল রজতাভ,

—‘রজতদা, ওরা পজিশন নিয়ে নিয়েছে। আর মিনিট কুড়ির মধ্যে সব ছারখার করে দেবে ওরা। তুমি কিছু একটা করো।’

সামনে নিশ্চিত হার জেনেও, সনৎকে সেটা বলার মত সাহস জোগাতে পারল না রজতাভ। শুধু বলল

—‘পাঁচিলের পাশ ছেড়ে সব ছেলেকে বল গেটের সামনে ব্লক করে দাঁড়াতে আর তার আগে সৌম‍্যজিৎকে বল সমস্ত মেয়েদের পুকুর পাড় দিয়ে কলেজের বাইরে বের করে দিতে, ওদিকটা এখন ফাঁকা হয়ে যাবে।’

—‘আর তুমি?’

সনৎ এর প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ধীর পদক্ষেপে ডিরোজিও ব্লকের দিকে এগিয়ে গেলো রজতাভ।

ডিরোজিও ব্লকে লবিতে গিয়ে দুটো ঘর ছাড়ালেই অভিমন্যু দাসের অফিস। এই কদিনে অভিমন্যু ও তার সহকারী নেপাল কাহিল হয়ে পড়লেও মচকায়নি এতটুকু। রজতাভ ঘরে ঢুকতেই হিংস্র নেকড়ের মতন লাফিয়ে উঠে নেপাল বলল,

—‘শুয়োরের বাচ্চা, এবার তোরা বুঝবি কত ধানে কত চাল। আর কিছুক্ষণের মধ্যে অন্ধকার নামলেই গেট ভেঙে কলেজে ঢুকবে আমাদের পার্টির ছেলেরা। তারপর তোদের মেয়েগুলোকে আমাদের ছেলেদের হাত থেকে আর পুলিশের ক‍্যালানির হাত থেকে তোদেরকে কে বাঁচায় দেখবো!’

নেপালের কথার যথার্থ জবাব যে রজতাভর কাছে ছিল না, এমন নয়। কিন্তু এই রজতাভ যেন একেবারে অন্য মানুষ,অভিমন্যুর দিকে তাকিয়ে শান্ত স্বরে সে শুধু বলল

—‘সেটা হলেও, আপনি যে পার পেয়ে যাবেন এমন ভাবার কোন কারণ নেই।’

তিনদিনের ধকলের চোটে টেবিলের ওপর মাথা রেখে শুয়ে ছিলেন অভিমন্যু, রজতাভর কথা শুনে মাথাটা তুলে ক্রুর হাসি হেসে বললেন,

—‘আমার কথা না ভেবে, তোমার বাচ্চা ছেলে মেয়েগুলোকে কীভাবে বাঁচাবে সেটা ভাবো।’

—‘ছেলেমেয়েদের কথা আপনাকে না ভাবলেও চলবে মিঃ দাস, আপনি নিজের কথা ভাবুন।’

— ‘আমি ভাববো না তো কে ভাববে? তুমি? না তোমার সেই পালিয়ে যাওয়া বন্ধু সুভাষ ব‍্যানার্জী।’

পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেল রজতাভর, হঠাৎ করে যেন হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ শরীরের ভিতর দিয়ে খেলে তার অঙ্গপ্রত‍্যঙ্গগুলোতে কম্পন ধরিয়ে দিল। ঠিক জায়গায় ঘা দিয়েছে পোড় খাওয়া নেতা অভিমন্যু, কেননা সে জানে, এর জবাব রজতাভর কাছে নেই।

সুভাষ, সুভাষ ব‍্যনার্জী রজতাভর সহপাঠী ও সহযোদ্ধা ছিল‌ সরোজিনী ইনস্টিটিউটে। যেকোন অন‍্যায়ের প্রতিবাদে রজত-সুভাষ ছিল কমরেড কম, সহোদর বেশী। কলেজে পড়াকালীন কত রাতে তারা ছুটে গেছে পাশের সাঁওতাল গ্রামের মানুষগুলোর বিপদে পাশে দাঁড়াতে। তাদের দুজনের উপস্থিতিতে কোন রাজনৈতিক দল অথবা বহিরাগত শক্তির ক্ষমতা ছিল না সরোজিনীতে কোন অনৈতিক কাণ্ড ঘটাবার। ট্রাস্টি বোর্ড থেকে নিয়ে স্থানীয় শাসক দলের ক‍্যাডাররা পর্যন্ত। সমীহ করে চলত রজত-সুভাষের জনপ্রিয়তাকে। ছাত্র-ছাত্রী-অভিভাবকদের কাছে তারা ছিল ভগবানতুল‍্য, রক্তদান থেকে দুঃস্থ পড়ুয়াদের জন‍্য চাঁদা তোলা, সবেতেই এই জুটি ছিল পুরোধা। দুজনেই অসম্ভব মেধাবী হওয়ার দরুণ ছিল অধ‍্যাপকদের নয়নের মণি, এমনকি এই অভিমন্যু দাস ও তার পারিষদবর্গও সমঝে চলত এদের।

সুখের দিন চিরকাল থাকে না, সরোজিনীর ভাগ‍্যও তার ব‍্যতিক্রম ছিল না। চতুর্থ বর্ষের ক‍্যাম্পাস প্লেসমেন্টে বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি পেল রজতাভ-সুভাষ। রজতাভ সরোজিনী আর গ্রামের মানুষদের ছেড়ে যেতে নারাজ হলেও, অন‍্য পথে হাঁটল সুভাষ। রজতাভ পড়ে রইল নীলপাহাড়িতে সরোজিনীকে নিয়ে আর সুভাষ পাড়ি জমাল দিল্লিতে। রাগে, ঘেন্নায় সুভাষকে আটকানোর চেষ্টা করেনি রজতাভ, যোগাযোগ ও রাখেনি আর কোনোদিন তার সাথে।

এতবছর পর সুভাষের কথা মনে করে ক্ষণিকের জন‍্য বিহ্বল হয়ে পড়লেও নিজেকে সামলে নিল রজতাভ। ক‍্যাডার বাহিনী ঢোকার আগে তাকে কাজটা সারতে হবে না হলে কৃশানুর আর পৌষালির আত্মা শান্তি পাবে না কোনদিন। চকিতে কোমরের পেছনে গোঁজা ওয়ান শটারটা বার করে সরাসরি অভিমন্যুর কপালের মাঝামাঝি তাগ করল রজতাভ।ঘটনার আকস্মিকতায় বাকরুদ্ধ হয়ে ফ‍্যালফ‍্যাল করে রজতাভর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে নেপাল, তার অন্নদাতাকে বাঁচাবার সব প্রচেষ্টা যেন কোন অভিশাপে রুদ্ধ হয়ে গেছে।

রজতাভ ট্রিগারটা চাপতে যাবে, ঠিক এমন সময় দৌড়ে দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকল সনৎ। রক্তশূন্য মুখ আর ঠিকরে পড়া চোখদুটোর দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুঁচকে গেল রজতাভর। তার হাতের পিস্তল তাক করা অভিমন্যুর দিকে অথচ সেদিকে যেন ভ্রুক্ষেপই করছে না সনৎ!

—‘কি হয়েছে, সনৎ?’

—‘রজতদা বাইরে এসো এক্ষুনি!’

অন্ধকার নেমে এসেছে সরোজিনী ইনস্টিটিউটের চারপাশে। দৌড়ে গেটের বাইরে এসে এক অভাবনীয় দৃশ্য চোখে পড়ল রজতাভর। মূল ফাটকের খানিকটা বাইরে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সনৎ ও বাকি ছাত্ররা, কিন্তু পুলিশ আর ক‍্যাডাররা কোথায়! তাদের কে তো আর সেখানে দেখা যাচ্ছে না। সনৎই রজতাভকে ডেকে সরোজিনীর পশ্চিম প্রান্তে আঙ্গুল তুলে দেখাল যেদিকে সবাই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে তাকিয়ে আছে। পশ্চিমের টিলার ওপরের সাঁওতালদের গ্রামটা থেকে প্রায় হাজার দুয়েক গ্রামবাসী তীব্রগতিতে ছুটে আসছে সরোজিনীর দিকে। গামছা গায়ে খাটো ধুতি পরা হাড় হাভাতে খেটে খাওয়া আপাতশান্ত মানুষগুলো আজ যেন কোন যাদুবলে মহাযুদ্ধের যোদ্ধাতে পরিণত হয়েছে। টাঙ্গি, বল্লম, কাটারি নিয়ে তারা ঝড়ের গতিতে এগিয়ে আসছে সংখ‍্যালঘু পুলিশ আর ক‍্যাডারবাহিনীর দিকে। শাসক দলের দালাল বীরপুঙ্গবেরা কতগুলো গরিব মানুষের ভয়ে, হাতে অটোমেটিক পিস্তল আর বন্দুক থাকা সত্ত্বেও থরথ‍র করে কাঁপছে। ভিড়টা ততক্ষণে প্রায় কলেজের সামনে এসে পড়েছে, রজতাভ উল্টো দিকে তাকিয়ে দেখল খানিকটা পিছু হটছে শত্রুপক্ষ। গ্রামের মানুষের দলটা এসে দাঁড়িয়ে পড়ল ঠিক কলেজের গেটের সামনে, ওদের মধ‍্যে মুরুব্বি গোছের একটা লোক এগিয়ে এসে উল্টোদিকের ভিড়টার দিকে তাকিয়ে বলল

—‘শোনেন বাবুরা, ই বাচ্চা ছেলেনগুলাকে মাইরবার কথা যদি ভেইবেও থাকেন, তাইলে কিন্তু আজ নীলপাহাড়িতে রক্তগঙ্গা বইবে।’

লোকাল থানার বাবুরা আর পার্টির ক‍্যাডাররা এটা বিলক্ষণ জানে যে আদিবাসীরা একবার ক্ষেপে গেলে তারা একজনও তাদের পৈতৃক প্রাণ নিয়ে এখান থেকে ফিরতে পারবে না। কাজেই সুড়সুড় করে পিছু হটল রাষ্ট্রীয় গুন্ডারা। এতক্ষণ হতবাক হয়ে এদের কাণ্ডকারখানা পর্যবেক্ষণ করছিল রজতাভ, এবার আর থাকতে না পেরে মুরুব্বি গোছের লোকটাকে জিজ্ঞাসা করল,

—‘আচ্ছা, আপনারা গত দুইদিন কেউ তো আসেননি, আজ এলেন যে হঠাৎ?’

—‘কী আর বলি রে বাপ। আমরা হলাম গিয়া মজদুর মানুষ, চাইলেও আসতে পারি নাই। কিন্তু আজ দাদাবাবু এসে এমনভাবে বুইললেন যে আমাদিগের মাথা আর ঠিক থাকল না রে!’

এসব কী বলছে লোকটা! কোন দাদাবাবু? মস্তিস্কে বিদ্যুৎ খেলে গেল রজতাভর। তাইলে কি...? কিন্তু সে কোথা থেকে আসবে এখানে? সে তো এখন বহুজাতিকের হাওয়াতে সহস্র ক্রোশ দূরে আরামে জীবন যাপন করছে। তবুও রজতাভর সন্দিহান মন আর একবার জিজ্ঞেস করল,

—‘সে আপনাদের সাথে এল না কেন?’

—‘সে তো বুলতি পারবো না বাপ, তবে ....’

মুরুব্বির কথা শেষ হতে না হতেই, ডিরোজিও ব্লকের দিক থেকে পরপর দুটো গানশটের আওয়াজ ভেসে এল। হতবাক হয়ে রজতাভ ছুটতে শুরু করল অভিমন্যুর ঘরের দিকে। উর্ধশ্বাসে ঘরে ঢুকে থতমত খেয়ে পিছিয়ে এল রজতাভ। রক্তে ভেসে যাচ্ছে টেবিল আর টেবিলের ওপর চিৎ হয়ে পড়ে আছে নেপাল আর অভিমন্যু। মাথার ক্ষত দেখে রজতাভ বুঝতে পারল যে খুব কাছ থেকে গুলি মেরেছে আততায়ী। টেবিলের দিকে এগিয়ে গিয়ে নেপালের মুঠোতে ধরা রক্তভেজা কাগজটা সন্তর্পণে বার করে নিল রজতাভ, তাতে লেখা,

ইগোটা এবার একটু কমা রাস্কেল।

একবার তো ডাকতেও পারতিস!

ইতি

যে ঘরে ফেরে নাই