সম্পাদকের কথা

“আশ্বিনের শারদ প্রাতে, বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জির, ধরণীর বহিরাকাশে অন্তরিত মেঘমালা, প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত জ্যোতির্ময়ী জগৎমাতার আগমন বার্তা, আনন্দময়ী মহামায়ার পদধ্বনি… অসীম ছন্দে বেজে উঠে রূপলোক ও রসলোকে আনে নবভাব মাধুরীর সঞ্জীবন, তাই আনন্দিতা শ্যামলী মাতৃকার চিন্ময়ীকে মৃন্ময়ীতে আবাহন… আজ চিৎশক্তি রূপিণী বিশ্বজননীর শারদশ্রী বিমণ্ডিতা প্রতিমা, মন্দিরে মন্দিরে ধ্যানবোধিতা…”

প্রিয় পাঠকবন্ধুরা,

‘আসছি আসছি’ করে শিউলির গন্ধমাখা ভোরে আলোর বেণু বাজিয়ে এসে পড়েছে মহালয়া। পিতৃপক্ষের শেষ। সূচনা হলো দেবীপক্ষের। পড়ল ঢাকে কাঠি। আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজোর। আর সেই সঙ্গে আপামর পাঠকের দরবারে আগমন ঘটল ‘পরবাসিয়া পাঁচালী’র, পাক্কা তিন মাস বিরতির পর। গতবছর প্রথমবারের জন্য পাঠকের কাছে আমাদের নিবেদন ছিল ‘পরবাসিয়া পাঁচালী’র শারদ অর্ঘ্যের। তখন পত্রিকার বয়স তিন মাসও হয়নি। সেদিনের সদ্যভূমিষ্ঠ শিশুর সামান্য প্রচেষ্টাকে পাঠকেরা দরাজভাবে বুকে টেনে নিয়েছিলেন। সে ভালোবাসা আমাদের চলার পথে অপরিসীম সাহস যুগিয়েছিল, আজও যোগায়। যে সাহসে ভর করে আমরা সাহিত্যের ডালি নিয়ে আবার এসেছি। বাণিজ্যিক কোনও উদ্দেশ্যের সম্পূর্ণ বাইরে গিয়ে আপনাদের সবার সঙ্গে এই সাহিত্য সফরে আমাদের সঙ্গী শুধু অদম্য জেদ আর আপনাদের ভালোবাসা। আমাদের কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই সেই সমস্ত লেখক ও শিল্পীদের প্রতি, যাঁরা অতুলনীয় ভালোবাসায় নানা স্বাদের গল্প, উপন্যাস , কমিকস, প্রবন্ধ, অলংকরণ, চিত্রকর্মে পরবাসিয়া পাঁচালীর এই শারদ সংখ্যা সাজিয়ে তুলেছেন।

তাহলে আর অপেক্ষা কীসের, পড়তে শুরু করে দিন। কেমন লাগল অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না। উৎসবের দিনগুলো ভাল কাটুক সকলের।

ধন্যবাদান্তে,