অরফিউসের বাঁশি - দেবজিৎ ভট্টাচার্য্য

অরফিউসের বাঁশি
দেবজিৎ ভট্টাচার্য্য
এইতো শুনতে পাচ্ছি,
হ্যাঁ, আরো একটু স্পষ্ট হলেই মূর্ছা যেতাম।
রোজ রাতে প্রসব হচ্ছে, আর কিছু মানুষ দুমিনিট অন্তর গার্গল করছে।

হাঁটতে হাঁটতে আমি তখন তারাতলার মোড়ে,
এদিক ওদিকে জাগতিক চক্রান্ত খুঁজছি।

অদ্ভুত ব্যাপার, রোজ খুঁজছি,
কেউ নেই কোথাও, সরকারি পরোয়ানা নেই,
ক্ষমতার দাবি দাওয়া নেই,
শুধু একতাল স্তব্ধতা চারিদিকে।
আবার কিছুটা এগিয়ে গেলেই শুনতে পাচ্ছি,
নোংরা নালা ডিঙিয়ে হাটছি, কানে ভেসে আসছে—দুটো সুর , না না তিনটে, সাতটা, কি জানি কটা,
ঠিক এরকমই কোনো কোনো রাতে আমি অরফিউসের বাঁশি শুনতে পাই।

এরপর অনেক রাত হয়ে গেছে,
বাজার উঠছে সব একে একে,
ছোট্ট ছেলেটা মাছের আঁশ ছড়িয়ে দিচ্ছে রাজপথে,
দুটো বেড়াল তাদের জন্মদিন পালন করছে।

রাস্তার ওপারে একটা পাগল রোজ তাকিয়ে থাকে,
ঘোলাটে চোখে আমাকে দেখে বিড়বিড় করে বিরক্তি প্রকাশ করে।

তারাতলার মোড়ে তখন আবছা আলো,
একটা বিয়ে বাড়ি ভাঙছে,
সবাই বাড়ি ফিরছে,
আমিও ফিরছি,
বরযাত্রীদের মধ্যে একজন এসে একটা সিগারেট ধরিয়ে শেষ বাসটা চেপে চলে গেল।